খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
হটাৎ তোমার সাথে দেখা। তুমি রিক্সা নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালে। আমাকে বললে রিক্সায় উঠতে আমি উঠে পড়লাম। কারণ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি ও খুব সম্মান করি। রিক্সা কিছু দূরে যাওয়ার পর তোমার চোখ পরলো আমার পায়ের দিকে। তাকিয়ে তুমি রেগে উঠলে। আমাকে কিছু বুঝতে দিলে না। কিরকম যানি করতে শুরু করলে। আমি ও বুঝতে পেরে ছিলাম, তুমি আমার পায়ে পরা ছিরা জুতো দেখে এমন করতে ছিলে। এবার আমার গা থেকে খুব একটা ঘামের গন্ধ লাগলো তোমার নাকে, কারণ আমি তখন রোদে ক্রিকেট খেলে ফিরছিলাম। আমরা শরীরের দিকে তাকিয়ে আরো রেগে গেলে। সামনে রিক্সা দার করিয়ে বললে। তুমি আসলে ছেসরা ছেলে, তুমি আমাকে বলে ছিলে তোমার বাবা দাদার এতো সম্পদ, তুমি সারাজীবন দুহাতে খরজ করলে ও শেষ হবে না। আসলে তুমি কতটা ফকিন্নি আমি এখন বুঝতে পেরেছি। আমার বান্ধবী যখন বলে ছিলো আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই নিজ চোখে দেখতে এসেছি, আর এসে নিজ চোখে সব দেখলাম। আমাদের কথা পাশে থাকা রিক্সাওলা দেখছিলেন। আসলে রিক্সাওলা আমার সত্যিটা যানে ও আমার বাবা ও দাদাদের জানেন। রিক্সাওলার সামনে যখন আমার অপমান হচ্ছে, আমি কিছু বলতে পারছিনা। দুচোখে পানি জমে জমে পরছে। মনে হচ্ছে জীবনে এমন কথা কখনো শুনিনি। মার মৃত্যুর পর কখনোই বাবা ও দাদা আমাকে ধমক ও দেয় নাই। আমি কষ্ট পাবো বলে বাবা দৃতীয় বিয়ে ও করেন নাই। আজকে একটা মেয়ে আমাকে এভাবে কথা বলছে। রিক্সাওলার সামনে খুব অপমানিত করলো। আমি একটা কথা ও বলিনি। আমাকে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিয়ে বললো, আজকের পর থেকে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। কারণ আমি কোন ফকিন্নি ছেলে কে বিয়ে করতে পারবো না। যার সামান্য জুতা কেনার টাকা নেই। আর কাপড় কয় বছর পরে পরে কিনে-কেয় যানে। আমি বড় ঘরের ছেলেকে বিয়ে করে সুখে থাকতে চাই। এমন সমস্ত কথা শুনে আমি কষ্ট পেয়ে চলে আসি। বাড়িতে এসে মনে মনে ভাবতে থাকি, আমি এমন মেয়ে চেয়েছি, যার ভিতরে কোন লাভ নেই। তাই গরিব ঘরের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছি। এই মেয়ের বাবা, যাকে আমি জিলানী আঙ্কেল বলে বাকি।ছোট বেলা থেকেই আমার বাবার অফিসে পিয়ন পদে চাকরি করেন। বাবা বলে ছিলেন উনার মেয়ে খুব সুন্দর ও নম্র ভদ্র মেয়ে, টাকা পয়সা ধন-সম্পদের কোন প্রকার লোভ নাই তার। তাই আমি তার পিছনে ছোটাছুটি করে তাকে আমার ভালোবাসার জন্য রাজি করেছি। তখন যানতাম না সে আমাকে না আমার পোশাক-আশাক ও টাকা দেখে ভালবাসে ছিলো। ঐ দিন এর পর থেকে আমি তাকে আমার মন থেকে উঠিয়ে দিলাম। শুনেছি রিক্সাওলা আমাদের বাবা দাদার স্ট্যাটাস কি সব বলেছে। আমাদের কতটা টাকা পয়সা ধন-সম্পদ আছে সব। আমি আর টাকা পয়সা ধন-সম্পদ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার শুধু একটা ঐ কথা ছিরা জুতো ও কাপড় চোপড়ে কি মানুষের পরিচয় হয়।
ঐদিন এর পর থেকে এই মেয়ে অনেক চেষ্টা করেছে আমার সাথে দেখা করতে। কিন্তু আমি তখন ওর জন্যও আকাশ চৌধুরী হয়ে গেছিলাম। আমার স্ট্যাটাস কি? এবং কতটা। আমাকে না পেরে ঠিকই পিছিয়ে পরেছে, আমার বাবা ও তার জন্য আমাকে বলে ছিলো। আমি সত্যিই বলতে বাবা রেগে যান। বাবাও চান আমি আমার মতো একটা মেয়ে চাই।
আজকে প্রায় ৫ বছর পরে হঠাৎ সে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো আর বললো আমাকে চিনতে পেরেছেন। আমি বললাম আরে আপনি, আশা করি নাই আবার সামনা-সামনি দেখা হয়ে যাবে।
আমার সাথে তার বান্ধবীকে দেখতে পেলো বললো সে আমার সাথে কেন?
আমিও বললাম তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তার সাথে আমার পরিচয় হয়। আমি তার মতো মেয়ে কখনওই দেখি নাই। সে এতিম মেয়ে, তার দুনিয়ার ও টাকা পয়সা ধন-সম্পদ এর প্রতি কোন লোভ নেই। কারণ সে এতিম ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছে, তার শুধু চাহিদা ভালোবাসা যা আমার সাথে হুবহু মিলে।
আর সে যানতো না আমার সাথে তোমার ও এক সময় এমন একটি সম্পর্ক ছিল? যা আমরা বিবাহর দিকে নিতে চেয়েছিলাম।
আজকে আমি খুব সুখে আছি, সব টুকুই তোমার জন্য। ঐদিন তুমি আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করলে এমন হতো না। ঐদিন তোমার সাথে রাগ হলেও এখন মনে হচ্ছে ঐ দিন এর ঘটনার জন্য আজকে আমি এতোটা সুখী।
কি? তুমি বিয়ে করছতো। হ্যা করেছি, আমি ভেবেছিলাম টাকা পয়সা ধন-সম্পদ নিয়ে সব সময় সুখী হওয়া যায়। বাবা আমাকে টাকা পয়সা ধন-সম্পদ ওলা ছেলের সাথে বিয়ে দেন, কিন্তু বিয়ের ৩ মাস হতেই সে আমাকে ১০ লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আসলে তার আমাকে দরকার ছিলো না আনন্দ ফুর্তি করার জন্য মেয়ে দরকার ছিলো।
পরে আর বিয়ে করো নাই? বিয়েতো বাবা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু কাউকে এমন পাইনি যাকে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবো।
তার পরে এই ১০ লক্ষ্য টাকা দিয়ে এই রেস্টুরেন্টা খুলি। আমি টাকা চেয়ে ছিলাম তাই মনে হয় আল্লাহ আমাকে টাকার সাথে সম্পর্ক করে দিয়েছেন। আমি যানি জীবনে আমি কি হারিয়েছি। ভালো থেকো তুমি।
আমিও তাকে বিদায় দিয়ে চলে এলাম, কারণ আমি বুঝতে পেরেছি যে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।
সত্যি বলতে মানুষের জীবন এমন কিছু ঘটনা ঘটে, এতে বড় কষ্ট ও ক্ষতি হলেও। পরে তার ভালোর জন্যই হয়।