- বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প
এক ফ্রেন্ডের সাথে বসে যখন রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলাম তখন খেয়াল করি আমার পিছনের সিটে বসা কয়েকটা ছেলে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে। ঠিক কি বিষয়ে কথা বলছে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম না। তবে আমার খুব বিরক্ত লাগছিলো।
কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে টিস্যু পেপারটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। আমি বুঝতে পারছিলাম এইখানে হয়তো ছেলেটার ফোন নাম্বার নয়তো ভালোবাসি টাইপের কিছু একটা লেখা আছে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
-কি এটা
ছেলেটা আশে পাশে একটু তাকিয়ে মাথা নিচু করে বললো,
-“আপনি হাতে নিয়ে একটু পড়ে দেখেন”
কথাটা বলে ছেলেটা আমার হাতে টিস্যু পেপারটা দিতে চাইলো। আমি রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম,
-“ভালোবাসি শব্দটাই তো লেখা আছে তাই না? আপনাদের মতো ছেলেদের আমার খুব ভালো করেই জানা আছে। মেয়ে দেখলেই হলো, ২ মিনিটে প্রেমে পড়ে যান আর ৫ মিনিটের মধ্যে প্রপোজ করে বসে থাকেন। ভালোবাসা কি এতটাই সস্তা যে চিনি না জানি না যাকে তাকে ভালোবেসে ফেলবো।”
আমার কথাগুলো রেস্টুরেন্টের সবাই শুনছিলো। ছেলেটা তখন টিস্যু পেপারটা আবার টেবিলের উপর রেখে মাথা নিচু করে চুপচাপ চলে গেলো—
আমি বিরক্ত হয়ে যখন টিস্যু পেপারটার দিকে তাকাই তখন দেখি সেখানে লেখা ছিলো,
“বোন আপনার জামার পিছনের চেইনটা খোলা”
আমি সাথে সাথে আমার বান্ধবীকে বললাম,
-দেখ তো আমার জামার পিছনের চেইনটা খোলা নাকি?
ও দেখে চেইনটা সাথে সাথে লাগিয়ে দিয়ে বললো,
-“ চেইন অনেকটাই খোলা ছিলো রে। তোর পিটের অনেকটাই অংশ দেখা যাচ্ছিলো।”
আমি বুঝতে পারছিলাম আমার পিছনে বসা ছেলেগুলো কেন এতক্ষণ হাসাহাসি করছিলো। শুধু শুধু একটা ছেলেকে ভুল বুঝে এতোগুলো কথা শুনিয়ে দিলাম। আমি তাড়াহুড়ো করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে দেখি ছেলেটা রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। আমাকে দেখে ফোনটা রেখে দিলো। আমি তখন মাথা নিচু করে বললাম,
-আসলে আমি আপনাকে কোন মুখে সরি বলবো বুঝতে পারছি না। আমি না বুঝে আপনাকে অনেক কিছু বলে ফেললাম
ছেলেটা মুচকি হেসে বললো,
-“এখন আর সরি বলে কি হবে? আমার যা ক্ষতি হবার তা তো হয়েই গেছে। যে মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই মেয়ের সাথে আজ আমার দেখা করার কথা ছিলো। আপনি যখন আমার কোন কথা না শুনে শুধু শুধু অপমান করছিলেন তখন মেয়েটা আড়াল থেকে নাকি সব শুনেছে। আর এখন ফোন করে সে বললো আমার মতো চরিত্রহীন ছেলেকে সে কখনোই বিয়ে করবে না।”
কথাটা শুনে আমার প্রচন্ডরকম খারাপ লাগছিলো। আমি ছেলেটাকে বললাম,
-“ আমি না বুঝে ভুল করে ফেলেছি। প্লিজ আমাকে ঐ মেয়ের কাছে একটু নিয়ে যান। আমি তার ভুলটা ভাঙ্গিয়ে দেবো।”
ছেলেটা আবারও হেসে বললো,
-“ সেটার আর দরকার হবে না। আমি দেখি ঠিক করা যায় কিনা। আজকাল কেউ কাউকে যেচে পড়ে উপকার করতে গেলেও ভয় পায়। ছেলেগুলো যখন আপনায় দেখে কুরুচিপূর্ণ কথা বলছিলো তখন আমার খুব খারাপ লাগছিলো। আর আমার মাত্রাতিরিক্ত লজ্জার জন্য আপনাকে মুখে বলতে পারি নি বলেই লিখে দিয়েছিলাম। আপনার প্রতি আমার একটা অনুরোধ রইলো-কখনো কাউকে না জেনে না বুঝে সন্দেহের উপর বিচার করতে যাবেন না।কারণ আপনার ছোট একটা ভুলের জন্য অন্যের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।”
কথাটা বলে ছেলেটা আগের মতই মাথা নিচু করে চুপচাপ চলে গেলো। আর আমি এতটাই অনুতপ্ত হয়ে ছিলাম যে আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিলো—
অনুতপ্ত
আবুল বাশার পিয়াস
- বাস্তব সম্মত কিছু কথা
বিপদে পড়ে টাকা চেয়েছেন কারো কাছে, সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে,তারমানে এই নয় যে আপনার জন্য অলস টাকা নিয়ে সে বসে ছিলো। কেউ আপনার খাবারের বিল আগে দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার কাছে টাকার পাহাড় আছে। লোকাল বাসে আপনার ভাড়াটা পরিচিত কেউ দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার মানিব্যাগ ভর্তি টাকা আছে। তার টাকার পাহাড় নেই কিন্তু পাহাড়ের চেয়েও উঁচু একটা মন আছে..
কেউ আপনাকে বিনয়ের সাথে 'সরি' বলেছে মানে এই নয় যে সব দোষ তার। কিছু দোষ হয়তো আপনারও ছিল অথবা তার আসলে কোনো দোষই ছিল না, শুধু অহেতুক ঝগড়া করে সম্পর্কটা নষ্ট করতে চায়নি বলেই সে সরিটা নিজেই বলে দিয়েছে। এটা তার দুর্বলতা নয়, এটা তার বিনয়।
কেউ আপনার সব কথা মেনে নিয়েছে মানে এই নয় যে, আপনি সবসময় যৌক্তিক কথা বলেন। বরং আপনাকে সে প্রচন্ড ভালোবাসে বলেই আপনার যৌক্তিক অযৌক্তিক সব কথাই সে মেনে নেয়। যাতে আপনি এতটুকু কষ্ট না পান।
সব কথার জবাব সবাই মুখে দেয় না। কেউ কেউ সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়। কেউ একটু হেসেই চলে যায়। তার হাসির মানে এই নয় যে আপনার কথা তার ভালো লেগেছে।
যার সম্পর্কে আপনি খুব মিথ্যা বাজে কথা বলেছেন তিনি সেসব শুনেও প্রতিবাদ না করে চলে গেছে মানে এই নয় যে সে আসলেই তাই যা আপনি তার সম্পর্কে বলেছেন। বরং লোকটার তার নিজের প্রতি সম্মানটা অনেক বেশি যার কারণে কারো নোংরা কথার জবাব দিয়ে তিনি তর্কে জড়াতে চাননি।
কেউ আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছে মানে এই নয় যে আপনি খুব ছোট ভুল করেছেন বা কোনো অপরাধই করেননি।
- বাস্তব জীবনের কিছু গল্প
বরং এমনও হতে পারে তিনি বিচারটা মহান স্রষ্টার হাতেই তুলে দিয়েছেন।
শাশুড়ি আর মায়ের মধ্যে এটাই তফাৎ
একটা নবজাতকের মা এর আত্মকাহিনাঃ
শাশুড়িঃ-বাবুর শিশির তেনা গুলো তাড়াতাড়ি ধুয়ে দাও,,শুকিয়ে যাক ।
মাঃ-তুই রাখ অগুলো আমি ধুয়ে দিচ্ছি।
শাশুড়িঃ- বৌ,,, বাবুকে গোসল করিয়ে দাও বেলা চলে গেলো।
মাঃ-গোসল করিয়ে তেল দিয়ে দিছি কোন জামাটা পরাবি।
শাশুড়িঃ-বৌ বাবুকে কখন খাওয়াবা খুদা লাগছে না বাবুর।
মাঃ- এই দেখ পুরা ফিটার খালি খাওয়া শেষ।
শাশুড়িঃ- খাওয়াতে নিলে কান্না করবো কে আমি বুঝিও না।
মাঃ- দে তোর কাছে খাবে না আমি খাওয়াই।
শাশুড়িঃ- বৌ বাবু পটি করছে আসো তাড়াতাড়ি।
মাঃ-(আম্মু কি করো),,,,,,,,,
বাবু পটি করছিলো ধোয়াই দিলাম।
শাশুড়িঃ- বাবু পানি খাবো গো।
মাঃ- বাবুরে পানি খাওয়াইলাম।
শাশুড়িঃ- বাবুন পটির পেনটা এখনো ধোও নাই ওইখানে ফালাই রাখছো কেন?সন্ধ্যায় ধুবা?
মাঃ-এতো সকালেই এগুলো নিয়ে বের হইছোছ ক্যান রাখ আমি ধুবো।
শ্বাশুড়িঃ- বাবু কান্না করতেছে ধরো নেও।
মাঃ- বাবুকে দে আমার কাছে কান্না করতাছে।
শ্বাশুড়িঃ- বাবুর কাপড় গুলা উঠাও গো, ঠান্ডা হয়ে গেলো।
মাঃ-দেখ বাবুর জামা উঠায়ে গরম গরম ভাজ করে রাখছি।
শ্বাশুড়িঃ-আল্লাহ রে শিশি করে একদম ভিজাইলো।
মাঃ- আমার নানু ভাই ই তো শিশি করবো। করো নানু
শ্বাশুড়িঃ- গোসলের পানি এতো ঠান্ডা কেন?
মাঃ- গোসলের পানি রেডি বাবুরে নিয়া আয়।
শাশুড়িঃ- এমনে খাওয়াও কেন? এমনে গোসল করাও কেন? এম্নে তেল দেও কেন? এমনে মুছাও কেন? এমনে জামা পরাও কেন? এমন করলা কেন?
মাঃ- খাওয়াইলাম। গোসল করাইলাম। তেল দিয়ে দিলাম। মুছাই দিলাম। জামা পরাই দিছি। সব কিছু এমন করে করবি। এখন শিখ পরের টা আমি না থকলে নিজে নিজে করিস।
মা এটা একটা শব্দ না এটা একটা ভালোবাসা, এটা একটা আশ্রয়, এটা একটা ভরসার জায়গা, এটা সকল সুখের আধার।
আর এই মায়ের ঋন কখনো শোধ করা যায় না।❤
I love u ma,,,