রহস্যময় গল্প
সত্য ঘটনা..
মাগরিবের আজান মাত্র দিছে, হঠাৎ মায়ের ফোনটা বেজে উঠলো
মা ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আমার দুলাভাই বলছে আমার আপু খুব অসুস্থ. হসপিটালে নিয়ে গেছে সবাই, মা বাবাকে দুলাভাই তক্ষুনি যেতে
বলে, আমি ও যেতে চাই তাদের সাথে কিন্তু মা নিলো না কারন কিছুদিন পর আমার এসএসসি পরীক্ষা শুরু
মা বললো আজ রাতেই চলে আসবে, এই শর্তে আমাকে একা রেখে মা বাবা আর ছোট বোন চলে গেলো। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পযন্ত একা ই বাসাই আছি বাহিরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে
মাঝে মাঝে ভয় লাগতেছে আবার ভালো একটা ফিলিংস কাজ করতেছে হঠাৎ রাত ১১ টার সময় কলিংবেল টা বেজে উঠল দরজা খুলতেই দেখি মা বাবা আর ছোট বোন দাড়িয়ে আছে মা খুব রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আজব বিষয় তাদের গায়ে বৃষ্টির বিন্দু মাত্র ফোটা নেই, আমি কিছু জিগ্যেস করার আগেই মা বাবা আর ছোট বোন তাড়াহুড়ো করে ঘরের ভিতর চলে গেলো হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে ওঠল
ফোনটা রিসিভ করতেই মা বলে ওঠল "মা তোর আপু খুব অসুস্থ আজকে আমরা আসতে পারবো না. কাল সকালেই চলে আসবো
তুই খাবার খেয়ে এখন ঘুমিয়ে পড়"
আমি থতমত খেয়ে গেলাম, তাহলে মাত্র যারা রুমে গেলো তারা কারা🙄
অনুগল্প
ভূতের গল্প!!
রহস্যময় মানুষ
এক লোক খুব বিরক্ত।
তার খুব শখ ভূত দেখবে। সারারাত, কবরস্থান, বনে জঙ্গলে ঘুরেও সে ভূতের দেখা পায় নি। এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। সে চায় ভূত দেখে এমন ভয় পাবে যে- ভয়ের চোটে কাঁপতে কাঁপতে তার জ্বর এসে যাবে। কলিজা কেঁপে উঠবে। যাই হোক, ভূতের দেখা না পেয়ে সেই লোক ভূতের বই আর ভূতের মুভি দেখা শুরু করলো। ভূতের বই এবং মুভি দেখে তার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়। প্রচন্ড ভূতের বই আর মুভি দেখে তার হাসি পায়।
লোকটির বাসার সামনেই একটা কবরস্থান।
একদিন রাতে ভূতের মুভি দেখে তার মেজাজ খুব খারাপ হলো। মেজাজ খারাপ ঠিক করার জন্য সে কবরস্থানে গেলো। চিৎকার করে বলল, হে ভূত আমাকে দেখা দাও। মৃত্যুর আগে আমি ভূত দেখে মরতে চাই। প্লীজ আসো। আসো। জোছনা রাত ছিলো সেদিন। হঠাত বিশাল এক খন্ড মেঘ এসে চাদটা ঢেকে দিলো। চারপাশ মুহুর্তের মধ্যে অন্ধকার হয়ে গেল। হঠাত চারিদিকে খুব বাতাস বইতে শুরু করলো। গাছের আড়ালে লোকটা হয়তো কিছু একটা দেখেছে। তারপর লোকটার মৃত্যু হয়।
রহস্যময় কিছু ঘটনা
রাত ১২ টায় আমার বেষ্টফ্রেন্ড রাতুল কল দিলো
-মামা তুই কই (রাতুল)
-এত রাতে কই থাকবো শুয়ে আছি(আমি)
-একটু তোর বাসার নিচে আয়(রাতুল)
-কেনো(আমি)
- আমি তোর বাসার নিচে (রাতুল)
-তুই এতো রাতে এখানে কি করছিস(আমি)
-আয় না তুই একা একা ভালো লাগছে না(রাতুল)
-দাড়া আসতেছি।
তারপর আমি কাচা ঘুম বিসর্জন দিয়ে উঠে পরলাম।তারাতারি নিচে এসে দেখলাম রাতুল দাড়িয়ে আছে।
-কিরে এতরাতে এখানে কি করছিস।(আমি)
-এমনি তোর সাথে দেখা করতে এসেছি।একা একা ভালো লাগছেনা(রাতুল)
-তাই বলে এতরাতে এখানে আসবি(আমি)
-আচ্ছা আয় একটু হেটে আসি(রাতুল)
-হুম চল(আমি)
তারপর আমি আর রাতুল কিছুক্ষণ হাটার পর রাতুল বললো।
-দোস্ত তুই একটু আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মু আব্বুকে বুঝাস না একটু আমার জন্য কান্না না করতে(রাতুল)
-কেনো তোর জন্য কান্না করতেছে কেনো তুই বাড়ি যা(আমি)
-দোস্ত আমি চাইলেও যেতে পারবোনা(রাতুল)
-কেনো পারবিনা(আমি)
তখনি দেখলাম আমার ফোনে রাতুলের মায়ের নাম্বার থেকে কল আসে।
-হ্যালো বাবা তুমি কই আছো(আন্টি)
আমি ওইপাশ থেকে শুনলাম আন্টি কান্না করতেছে।
-কেনো আন্টি(আমি)
-তোমার বন্ধু রাতুল একটু আগে আত্নহত্যা করেছে।
তারপর কিছু একটা পড়ে যাওয়ার যাওয়ার শব্দ শুনলাম হয়তো উনি সেন্সলেস হয়ে গেছেন।
আমি কি বলবো বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
রাতুল আত্নহত্যা করলে আমার সাথে কে ছিলো। রহস্যময় গল্প পড়ুন।