স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার আগে জানুন | ডিভোর্স এর গল্প

 ডিভোর্স

ডিভোর্স

স্বামীর সাথে যখন ঝামেলা চলছিলো তখন অনেকে বলেছিলো স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে ছেড়ে দেও! এর চেয়ে কত ভালো ছেলে পাবে, কারণ তোমার চাকুরী আছে। আমিও ভেবে দেখেছিলাম তাই তো!!!


কিন্তু বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো, যত ভালো জবই থাকুক না কেন!!!

দ্বিতীয় বার যখন কেউ আপনাকে বিয়ে করতে আসবে,বা বিয়ে করবে হয় সে আপনাকে করুনা করবে, না হয় সমাজ -পরিবারের কথা চিন্তা করে আপনাকে রাজি হয়ে যেতে হবে দায়মুক্তির জন্য!!


ডিভোর্স পরবর্তী বিয়ে করা এক আপুর সাথে আলাপ হলে, বলল ভাই বিয়ের ৩/৪ মাস ভাল গেলেও এখন প্রতিনিয়ত খোটা দেয়। আমি ভালো হইলে আমার কেন ডিভোর্স হলো!! আমি খারাপ, নষ্ট, বদ মেজাজী ইত্যাদি। কিন্তু এখন এসব অপমান সহ্য করে সংসার করে যেতে হবে মুখ বুজে!!


আগের যে ফ্রীডম ছিল এখন তা নাই মনের দিক থেকে বড় হয়ে আর থাকতে পারিনা। সব সময় নিজেকে ছোট মনে হয়।।


দ্বিতীয় পুরুষের ছোয়ায় প্রথম স্বামীর অনুভূতি গুলো মনের পরার মত এত বাজে অভিজ্ঞতা যেন কারো না হয়!!স্বামী- স্ত্রী সম্পর্কে ভুল বুঝাবুঝি হলে নিজেরাই মিটিয়ে ফেলুন । তৃতীয় কোন ব্যাক্তির পরামর্শ নিবেন না।


আপত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে ডিভোর্স হলেই হয় বেঁচে যাবো, বাঁচবেন ঠিকই কিন্তু একা হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা আপনাকে শেষ করে দিবে। সাথে কোথাও চলাফেরা করতে গেলে নিজের হীনমন্যতা আর মানুষের আলগা করুনায় আপনার জীবন তখন আরও অতিষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রথম মানুষটির মত ভালোবাসা এবং সম্মান আর কোথাও পাবেন না।


পরামর্শ একটাই, স্বামী - স্ত্রীর সর্ম্পকের ভুল বুঝাবুঝি

হলে নিজেদের মধ্যে সমাধান করুন আর আপনি শিক্ষিত/ব্যবসায়ী নারী । নিজের আত্মঅহংকারের কথা চিন্তা করে স্বামীর হুকুমের বাহিরে চলাচল করবেন এমন মানসিকতার পরিবর্তন করুন।


মনে রাখবেন আপনি নারী। আর সে পুরুষ, আল্লাহ পুরুষদেরকে পরিবারের কর্তা বানিয়ে পাঠিয়েছেন

আপনাকে না!!!