প্রচণ্ড হাসির বড় গল্প
১: গরু আর জামাই
একবার গ্রামের এক মা তার মেয়ের জামাইকে দাওয়াত দিল। জামাই শহর থেকে গ্রামে এল। মেয়েটা খুশি, মা খুশি, কিন্তু গরুটা কিছুতেই খুশি না!
জামাই খেতে বসেছে, মাংস দেখে চোখ বড় বড়! খাওয়ার মাঝেই প্রশ্ন করল— – মা, এই মাংসটা কি গরুর? শাশুড়ি মাথা নিচু করে বলল: – হ্যাঁ, এটা আমাদের লালু গরু...
জামাই থেমে গেল। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। আবেগে বলল: – লালু? আমি ওর সাথে সকালে কথা বলেছি!
– শাশুড়ি বলল: হ্যাঁ, ও-ই ছিল গরু, তুমি ওর সাথে গল্প করছিলে আর ও তখন চিৎকার করছিল, কারণ ও জানত তুমি ওকে খাবে!
এরপর থেকে জামাই শুধু সবজি খায়!
---
প্রচণ্ড হাসির বড় গল্প
২: ফোনে প্রেম আর গ্রামে ধরা
রাহুল শহরের ছেলে, আর ফারজানা গ্রামের মেয়ে। দুজনে প্রেম করে ফোনে, তবে দেখা হয়নি একবারও।
একদিন রাহুল ভাবল, এবার গ্রামে গিয়ে দেখা করে আসি।
চুপিচুপি গেল, কিন্তু গ্রামে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে ভুল করল—
– “এই যে ভাই, ফারজানার বাসা কোনদিকে?”
লোকটা গম্ভীর হয়ে বলল—
– “আমি তার বাবা।”
রাহুল বলল—
– “ও আচ্ছা, তাহলে আপনিই আমার শ্বশুর!”
লোকটা কিছু না বলে বাড়ি নিয়ে গেল। সেখানে ২০-২৫ জন লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে।
তারা বলল—
– “তোমার শ্বশুর, শাশুড়ি, শালা সবাইকে একসাথে পছন্দ করে নিতে এসেছো বুঝি?”
সেদিন রাহুল প্রেম করেও সিঙ্গেল হয়ে বাড়ি ফিরল... এবং ফোনটা জলে ফেলে দিল!
---
হাসির ধাঁধা
(উত্তর সহ, গল্পরূপে)
শিশু: বাবা, একটা ধাঁধা বলি?
বাবা: বলো শুনি।
শিশু: এমন একটা জিনিস, সবার পকেটে থাকে, কিন্তু সময়মতো বাজে না!
বাবা: মোবাইল?
শিশু: না বাবা, তোমার বেতন!
বাবা তখন থেকেই ধাঁধা বলা নিষেধ করে দিল।
---
রোমান্টিক হাসির জোকস
(গল্পের মতো)
ছেলে মেয়েকে বলল—
– জান, তুমিই আমার পৃথিবী!
মেয়ে হাসি দিয়ে বলল—
– তাহলে তুমি কি সূর্য?
ছেলে: না জান, আমি গুগল ম্যাপ, তোমার লোকেশন ছাড়া চলতে পারি না!
মেয়ে: আমি তাহলে মিস কল, তুমিই বারবার ঘুরে ফিরে আসো!
---
হাসির স্ট্যাটাস
(গল্প)
বন্ধু: তোর প্রেমিকা কই?
আমি: ব্রেকআপ হয়ে গেছে।
বন্ধু: কেন?
আমি: ও বলছিল, “তুমি আমার হাসির কারণ।”
বন্ধু: তো সমস্যা কী?
আমি: পরে বুঝলাম, হাসির কারণ না, হাস্যকর কারণ!
---
হাসি নিয়ে ক্যাপশন
(গল্পস্টাইল)
ছবিতে দাঁত বের করে হাসি দিচ্ছি, কেউ কমেন্ট করল—
“ভাই, এত হাসো কেন?”
আমি লিখলাম ক্যাপশন:
“হাসি দিয়ে সব না পারা যায় না, কিন্তু মনটা হালকা থাকে – যেমন আমি এসএসসি ফেল করার পর হেসেছিলাম!”