গল্প: “মাঝপথে থেমে যাওয়া জীবন”
মেয়েটির নাম সাদিয়া।
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের চুপচাপ, কিন্তু দেখতে সুন্দর মেয়ে।
শৈশব থেকেই সমাজের চোখে সে ছিল এক আদর্শ কন্যা—
ভদ্র, নম্র, পড়াশোনায় ভালো, এবং সবসময় পরিবারকে প্রাধান্য দেওয়া।
কিন্তু কলেজে উঠার পর,
সোশ্যাল মিডিয়া আর আধুনিকতার ঢেউ তাকে ধীরে ধীরে বদলে দিতে লাগল।
বন্ধুদের মাঝে যে বেশি ফলোয়ার, সে বেশি “ভ্যালুয়েবল”।
যার ছবি বেশি লাইক পায়, সে বেশি “স্টাইলিশ”।
আর যে যত বেশি শরীর দেখায়, সে তত “বোল্ড”।
সাদিয়া ভেবেছিল—
> “সবার মত না হলে পিছিয়ে যাবো, তাই আমাকেও বদলাতে হবে।”
শুরু করল টাইট ড্রেস, হালকা মেকআপ, আর শরীরের ভঙ্গিমা দিয়ে ছবি পোস্ট।
লাইক বাড়ল, ফলোয়ার বাড়ল—তার মনে হল সাফল্য এটাই।
প্রথম প্রথম সে একটু দ্বিধায় থাকত,
কিন্তু যত লাইমলাইটে আসতে থাকল, তত শরীর হয়ে উঠল তার পরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু।
একটা সময় প্রেমে পড়ল—ছেলেটা তাকে বলত,
> “তুমি ইউনিক, বোল্ড, তোমার মত মেয়েই আমার পছন্দ।”
কিন্তু সেই ছেলেই একদিন ভিডিও ভাইরাল করে দিল।
তখন কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল না সে কেমন আছে,
বরং সবাই বলল—“সে এমনই, তারই তো এটা হওয়া উচিত ছিল।”
বন্ধুরা একে একে দূরে সরে গেল।
পরিবার মুখ লুকাল প্রতিবেশীর কাছে,
পড়াশোনা থেমে গেল,
বিয়ের প্রস্তাবগুলো বাতিল হতে থাকল।
সাদিয়া তখন একা, সম্পূর্ণ একা।
সে চিৎকার করে বলতে চেয়েছিল—
> “আমি শুধু নিজেকে একটু আলাদা করে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম,
আমি তো কাউকে কষ্ট দিইনি…”
কিন্তু সমাজ এসব বোঝে না।
তারা শুধু দেখে—কে কেমন পোশাক পরে, কে কেমন ছবি পোস্ট করে,
তারা কাহিনী বোঝে না, বোঝে কেবল “ছবি”।
একদিন সাদিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।
রক্ষা পেয়েছিল ঠিকই,
কিন্তু সমাজ তাকে আর “মেয়ে” মনে করেনি—
মনে করেছে এক “ব্যর্থ নারী”,
যার কোনো সম্মান থাকার অধিকার নেই।
---
গল্পের উদ্দেশ্য:
> নিজেকে অন্যের মত বানাতে গিয়ে নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলো না।
সোশ্যাল মিডিয়া লাইকের জন্য নয়, আত্মসম্মানের জায়গা নয়।
নারী স্বাধীনতা মানে নিজেকে সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করা—not বিক্রির মতো প্রদর্শন।
যে সমাজ তোমাকে আজ বাহবা দেয় শরীর দেখে,
কাল সে-ই তোমার ধ্বংস চাইবে ভিডিও দেখে।
মনে রেখো, শরীরের সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু চরিত্রের সৌন্দর্য চিরকালীন।
Disclaimer / Story Policy
This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.
We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.
If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.
"এই গল্পটি ‘জীবন যুদ্ধ গল্প.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com
