হাতিটি কি সত্যি ছেলেটির সাহায্যে উঠেছে | অনুপ্রেরণার একটি হাত

 শুধু একটা হাত

শুধু একটা হাত

একটা সময় ছিলো, যখন আমি নিজেকে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল আর অবহেলিত একজন মানুষ ভাবতাম। চেষ্টা করতাম অনেক, কিন্তু কোনো কাজে কখনোই পরিবারের বা আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে “তুই পারবি” এই বিশ্বাসটা পাইনি। বরং তারা সবসময় বলতো – “তুই দিয়ে কিছু হবে না”, “তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না”, “এত বড় স্বপ্ন দেখিস কেন?”

আমি ভেবেছি, হয়তো আমি সত্যিই অযোগ্য।

একদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে দেখি, একটা বিশাল হাতি একটা ট্রাকে উঠছে। পিছন থেকে একজন লোক তার পিঠে হাত রেখেছে। দেখে মনে হলো লোকটা যেন হাতিটাকে ঠেলে উঠাচ্ছে! অথচ সেটা সম্ভব নয়। ওজনের দিক দিয়ে লোকটি হাতির সামনে কিছুই না। কিন্তু আমি অবাক হলাম, কারণ হাতিটি উঠতে পারছিলো। তখন বুঝলাম, হাতি নিজেই তার শক্তিতে উঠছে, কিন্তু পিছনের সেই মানুষটির স্পর্শটাই তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।

সেই মুহূর্তটা আমার জীবনের বড় শিক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।

আমি বুঝলাম, অনেক সময় মানুষ শুধু চায় পেছনে থেকে কেউ একটা হাত রাখুক। কেউ বলুক, “তুই পারবি।” সেই সাহসেই মানুষ পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে পারে।

কিন্তু আফসোস, আমাদের চারপাশে যারা থাকে, তারা আমাদের ঠেলে ওঠায় না, বরং পিছনে টেনে ধরে। আমাদের ভয় দেখায়, আমাদের কষ্টে হাসে, আমাদের স্বপ্নকে তুচ্ছ করে। তারা ভাবে আমরা সফল হয়ে গেলে তাদের অপূর্ণতাটা বেড়ে যাবে।

আমি তখন সিদ্ধান্ত নিই, আমি আর কারো হাতের আশায় বসে থাকবো না। আমি নিজেই আমার পেছনে দাঁড়াবো। আমি নিজেই নিজেকে বলবো – “তুই পারবি।”

আর সেই দিন থেকেই, আমি শুধু নিজেকে সাহস দেওয়া শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আমার পথ পরিষ্কার হতে লাগল। একসময় আমিই সেই জায়গায় পৌঁছে গেলাম, যেখানে একদিন সবাই বলেছিল – “তুই যাবি না।”

আজও অনেকেই ভাবে, আমাকে কেউ ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো – আমি শুধু নিজের পিঠে নিজের হাত রেখেছিলাম। আর সেখান থেকেই শুরু আমার নতুন জীবন।

এ গল্পটি বাস্তব। কারণ প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন শুধু একটুখানি ভরসা প্রয়োজন হয়। শুধু একটা হাতের স্পর্শ, একটা সাহসের শব্দ।

হতাশ হওয়ার আগে, একবার নিজেকে বলো – “তুই পারবি।”

আর নিজের পেছনে হাত রাখো।

শিক্ষা হচ্ছে:

সবাই যদি পেছনে থেকে ঠেলে দিতো, তাহলে কেউই থেমে যেতো না।

কিন্তু দুনিয়ায় এমন মানুষ কম, যারা সাহস দিয়ে তোলে।

তাই নিজেই নিজের সাহস হো।

Disclaimer / Story Policy

This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.

We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.

If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.

"এই গল্পটি ‘জীবন যুদ্ধ গল্প.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com