গল্প: “ভাঙা আয়নার রঙ”
তৃষা।
নামটি শুনলে শহরের অনেক ছেলেই হয়তো স্মৃতি হাতড়ায়।
সে ছিল মোহময়ী, হাই-ফ্যাশন, ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি।
ইনস্টাগ্রামে লাখ ফলোয়ার, ফেসবুকে হাজার হাজার ফ্যান।
চোখে ছিল মাস্কারা, ঠোঁটে ছিল লাল ছোঁয়া, আর শরীরে ছিল এমন পোশাক—যা সবাইকে তাকাতে বাধ্য করত।
তৃষা বলত,
> “আমার জীবন আমার নিয়মে চলবে, কারও তোয়াক্কা করবো না।”
আর সমাজ?
সমাজ তাকে বলত “মডার্ন”, “হট”, “ফিয়ারলেস”।
সে প্রেম করত একের পর এক।
প্রথমে “রায়ান”, সে বলেছিল: “তোমার চোখে ডুবে যাই।”
তারপর “সাহিল”, সে বলেছিল: “তোমার শরীর যেন কবিতা।”
আর শেষের দিকে আর নাম মনে রাখতে পারেনি তৃষা,
কারণ সবাই শুধু শরীরটাকে দেখেছিল—মনের খোঁজ কেউ নেয়নি।
তৃষা ভেবেছিল,
> “আমি যত সুন্দর থাকব, তত ভালোবাসা পাব।”
কিন্তু সময় শেখাল—
“শরীরের প্রেম টিকেও না, ঠিকেও না।”
দিন বদলাতে থাকল।
বয়স বাড়তে থাকল।
নতুন সুন্দরীরা আসতে লাগল।
আর তৃষা? ইনস্টাগ্রামে লাইক কমতে থাকল, ইনবক্স নিস্তব্ধ।
একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে চিনতে পারল না।
সে বলল,
> “আমি তো শুধু শরীর ছিলাম, কেউ তো আমায় মানুষ মনে করেনি!”
সেই আয়না ভেঙে দিল,
কিন্তু ভাঙা আয়না নয়, সে নিজেই ছিল ভাঙা।
ভেতরটা একা, শুন্য, সম্মানহীন।
পরিবার?
তাদের কাছে সে ছিল লজ্জার কারণ।
বিয়ে?
ছেলেরা বলত, “ওকে বউ নয়, রাতের সঙ্গী হিসেবে ভাবা যায়।”
বন্ধুরা চলে গেল, আর সে পড়ে রইল নামহীন, পরিচয়হীন।
একদিন হসপিটালে একা ভর্তি হল,
কোনো আপন নেই, প্রেমিক নেই, বন্ধু নেই।
শুধু স্মৃতি ছিল—কে কীভাবে তার শরীর নিয়ে খেলেছিল।
এক সময় নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গতায় চোখ বুজে গেল সে।
---
শেষের শিক্ষা:
> নারীর সৌন্দর্য চিরকালীন নয়, চরিত্র ও আত্মমর্যাদা চিরন্তন।
স্বাধীনতা মানে নিজের পতনের সুযোগ দেওয়া নয়,
বরং নিজের সম্মান রক্ষা করার ক্ষমতা।
শরীর যতই দ্যুতি ছড়াক, একদিন তা মলিন হয়।
তখন কেউ পাশে থাকে না, শুধু বিছানায় ফেলে যাওয়ার স্মৃতি থাকে।
Disclaimer / Story Policy
This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.
We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.
If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.
"এই গল্পটি ‘জীবন যুদ্ধ গল্প.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com