💔 গল্প: "তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম"
তানভীর আর মায়া — খুব সাধারণ দুটো নাম।
তাদের প্রেমটাও ছিল অনেকের মতোই, ছোট্ট এক শহরে, এক ক্লাসে বসে শুরু হয়েছিল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা।
মায়া প্রথম হাসি দিয়েছিল, আর তানভীর তখন থেকেই তাকে নিজের পৃথিবী ভেবে নিয়েছিল।
তারা একসাথে সব কিছু করত—কোচিং থেকে ফেরার পর ফোনে গল্প, জন্মদিনে চুপিচুপি উপহার, আর রাত ২টা পর্যন্ত চলত “ঘুমাও না কেন?” যুদ্ধ।
তানভীর বলত,
“তুই যদি অন্য কাউকে ভালোবাসিস একদিন, আমাকে বলিস… আমি কষ্ট পাবো, কিন্তু বিশ্বাস ভাঙিস না।”
আর মায়া হেসে বলত,
“তুই পাগল, তোর মতো আর কে আছে?”
তাদের গল্পটা স্বপ্নের মতো এগোচ্ছিল।
তানভীর চাকরির জন্য ঢাকায় এলো, আর মায়া পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
সময় বদলালো। কথার ফ্রিকোয়েন্সি কমে গেল, দেখা হওয়া বছরান্তর হয়ে গেল, কিন্তু তানভীর অপেক্ষা করতে জানত।
সে বিশ্বাস করত — মায়া ফিরে আসবে।
একদিন হঠাৎ তানভীরের হাতে ফোন — একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ভিডিও এসেছে।
খুলে দেখে—মায়া।
অন্য একজন ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে, হাসছে, কেক কাটছে। ছবির নিচে লেখা,
“To new beginnings 💍”
তানভীর প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি।
তারপর ধীরে ধীরে বাস্তবতা এসে আঘাত করল।
মায়া বিয়ে করছে — কাউকে ভালোবেসে নয়, পরিবার চায় বলে।
আর এটা জানাতেও প্রয়োজন মনে করেনি।
তানভীর শুধু একটা মেসেজ করেছিল:
“তুই আমাকে ভালো না বাসলেও চলত, কিন্তু বলতেই পারতি। আমি তোর মুখে শুনতে চেয়েছিলাম, ভাঙা বিশ্বাসে না।”
মায়া আর কোনো উত্তর দেয়নি।
---
🕯️ বছরখানেক পর…
তানভীর এখন নিজের জগতে ব্যস্ত।
সে এখন আর কাউকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে না।
হাসে, কথা বলে, আড্ডা দেয় — কিন্তু হৃদয়ের দরজা খোলা রাখে না।
কারণ সে বুঝে গেছে,
“ভালোবাসা সবাই করে, কিন্তু বিশ্বাস ধরে রাখার সাহস সবার থাকে না।”
---
গল্পের শিক্ষা
কেউ কেউ আমাদের গল্পের নায়ক হয় না, হয়ে যায় শিক্ষা।
আর বিশ্বাস?
তা একবার ভাঙলে,
ভালোবাসা থেকেও একা বেঁচে থাকতে হয়।
