গল্প: নতুন জীবনের দরজায়
রাতটা যেন আজ একটু বেশিই নীরব। ঘরের কোণে লাল-হলুদের আলো মিলেমিশে এক স্বপ্নময় আবহ তৈরি করেছে। শুভ্রার চোখে আজ কিছুটা ভয়, কিছুটা কৌতূহল। এক নতুন সম্পর্ক, এক নতুন পরিচয় তাকে ঘিরে ধরেছে—সে আজ একজন স্ত্রী।
আয়নার সামনে বসে আছে সে, লাল বেনারসি, হাতে মেহেদির রং, সিঁথিতে সিঁদুর। বুকের ভেতরটা কাঁপছে একটু একটু করে—ভবিষ্যতের অজানা পথের দোলাচলে।
ঘরের দরজায় ধীরে ধীরে পা ফেলল তার স্বামী, আদিত্য। হাতে এক কাপ কফি আর ছোট্ট এক চিরকুট। চুপচাপ এসে পাশে বসল। শুভ্রার কাঁধের ওপর একটুকু ওড়না টেনে দিল—তারপর বলল,
“আজ তোমাকে কিছু বলার নেই। শুধু জানি, এই জীবনের প্রতিটি সকাল আমি চাই তোমার পাশে জেগে উঠতে।”
শুভ্রা কিছু বলল না। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আদিত্য ধীরে হাত ধরে বলল,
“তোমার ভয়কে আমি বোঝাতে চাই—তুমি একা নও। আমি আছি।”
সেই রাতটা ছিল শব্দহীন, কিন্তু অনুভবভরা। তারা কথা বলেছিল—শুধু হৃদয়ের ভাষায়।
---
বাসর রাত মানে কী?
বাসর রাত মানে কোনো শারীরিকতার নাম নয়, এটি হল দুটি আত্মার মিলনের সূচনা। এই রাত হয় ভরসার, অনুভবের, বিশ্বাসের, ভালোবাসার। নতুন জীবনের প্রথম ধাপ যেখানে একে অপরকে জানার সময়।
---
বাসর রাতে কী কী হয়?
প্রথমে হয় একে অপরকে জানার চেষ্টা
একে অপরের ভয়, স্বপ্ন, অতীত ভাগ করে নেওয়া
কেউ হাসে, কেউ লজ্জা পায়, কেউ কাঁদে আবেগে
কেউ বলে—"আমি আছি, ভয় পেয়ো না"
কেউ বলে—"তুমি আমার সম্মানের, আমার ভালোবাসার মানুষ"
---
বাসর রাতে কী কথা বলতে হয়?
“তুমি কেমন আছো? আরাম হচ্ছে তো?”
“আমি চাই, আমরা ভালোবাসার জীবন কাটাই”
“ভয় পেও না, আমি কখনো জোর করবো না”
“তুমি আমার জীবনের সেরা উপহার”
“আজ আমরা শুধু গল্প করবো, একে অপরকে জানবো”
---
বাসর রাতের বাস্তব গল্প (সংক্ষেপে)
শাফিন ও রুকাইয়া—দুজনেই বিয়ে হয়েছিল পারিবারিক পছন্দে। রুকাইয়ার খুব ভয় ছিল—নতুন মানুষ, নতুন পরিবেশ। কিন্তু বাসর রাতে শাফিন কিছুই জোর করল না। শুধু বলল, “তোমার সম্মতি ছাড়া আমি কোনো কিছুতেই হাত দিই না।”
সেই ভরসা থেকেই রুকাইয়া ধীরে ধীরে তার কাছে খুলে গিয়েছিল—শুরু হয়েছিল এক মধুর দাম্পত্য জীবনের।