যে নারী স্বামীর কথা না তার কথা স্বামীকে, বাধ্য করে কথা শুনতে

ভয়ংকর নারীর ভয়ংকর ব্যবহার – আর শেষে তাদের কপাল

ভয়ংকর নারীর ভয়ংকর ব্যবহার

১. শুরুটা হয় মিষ্টি হাসিতে

অনেক নারী আছে যারা বিয়ের আগে হাসি দিয়ে, মিষ্টি কথা বলে স্বামীকে নিজের বশে আনে।

বিয়ের পর মনে হয় –

👉 “এটা তো আমার হাতে ধরা পুতুল, ইচ্ছেমতো চালাবো।”

প্রথমে হয় আদেশ, পরে ধীরে ধীরে সেই আদেশ হয়ে যায় শাসন, আর শেষে ভয়।

২. স্বামীকে ভয়ে রাখা

এই নারীরা স্বামীকে এমন ভয়ে রাখে যেন স্বামী কোনো অপরাধী।

রাত একটু দেরি করে এলে – “তুই কই ঘুরে এলি? কার সাথে ছিলি?”

বেতন পেলে – “সব টাকা এখনি আমার হাতে দিবি, না হলে খবর আছে।”

কথা বললে – “চুপ কর, তোর মুখ শুনলে মাথা ধরবে।”

এমনকি ছোট ভুল হলেও গলা ফাটিয়ে চেঁচায়, প্লেট ছোঁড়ে, আর মাঝে মাঝে হাতও তোলে।

৩. স্বামীর ইনমা (শ্বশুর-শাশুড়ি) কে কষ্ট দেওয়া

এই ধরনের নারীরা শুধু স্বামীকেই না, স্বামীর মা-বাবাকেও খুশি হতে দেয় না।

শাশুড়ি যদি সামান্য কিছু বলে, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর – “আমার ঘরে কথা বলার দরকার নাই।”

শ্বশুর কিছু চাইলে বলে – “তোমার ছেলে আমার দাস, আমি যা চাই তা-ই হবে।”

ফলে ঘরে থাকে কলহ, টানাটানি, আর স্বামী হয়ে পড়ে দুই দিকের চাপে পিষ্ট।

৪. তাদের অসীম চাওয়া

এরা কখনো সন্তুষ্ট হয় না।

গয়না দিলে বলে – “এটা তো কম, অমুকের বৌয়ের চেয়ে ছোট।”

নতুন ফোন কিনে দিলে বলে – “নতুন মডেল আসছে, এটাতো পুরানো।”

শাড়ি কিনে দিলে বলে – “আমার ফিগার দেখে কি সস্তা শাড়ি দিলি?”

স্বামী দিনরাত খেটে মরে, কিন্তু এদের চোখ ভরে না।

৫. স্বামী হয়ে পড়ে বন্দি

এইসব নারীর স্বামীরা একসময় এমন হয়ে যায় যেন ভয়ে কাঁপা বন্দি।

বন্ধুদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়।

অফিস থেকে সোজা বাড়ি আসে যেন দেরি না হয়।

ঘরে ঢুকলেই ভাবে – “আজ আবার কি ঝড় উঠবে?”

৬. শেষের কপাল

কিন্তু প্রশ্ন হলো – এই ভয়ংকর ব্যবহার করা নারীদের শেষ কপাল কেমন হয়?

👉 প্রথমে স্বামী সহ্য করে, ভাবে – “চুপ থাকি, সংসার টিকে যাক।”

👉 কিন্তু একসময় সেই সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়।

স্বামী হয়তো দূরে সরে যায়।

আবার কারো কারো ক্ষেত্রে স্বামী আলাদা হয়ে যায়, এমনকি সংসার ভেঙেও যায়।

সবচেয়ে খারাপ হলো –

যখন বয়স বেড়ে যায়, রূপ ফুরিয়ে যায়, তখন আর কেউ থাকে না পাশে।

তখন তারা বুঝতে পারে –

👉 “ভয় দিয়ে কাউকে চিরকাল পাওয়া যায় না, ভালোবাসা দিয়েই আসল সুখ ধরা যায়।”

৭. শিক্ষা

স্বামীকে ভয় দেখিয়ে রাখা মানে নিজের কবর খোঁড়া।

কারণ ভয় কখনো ভালোবাসা হয় না।

যেখানে ভয়ের রাজত্ব, সেখানে হাসি-খুশি থাকে না।

শেষমেষ সেই নারীর কপাল হয় অশান্তি, একাকিত্ব আর আফসোসে ভরা।

ভালোবাসা মানে সাথী হয়ে থাকা,

কিন্তু ভয়ংকর নারী সেটা ভুলে গিয়ে স্বামীকে দাস ভাবে।

তাদের জন্য ভবিষ্যৎ সবসময় অন্ধকার।

কারণ ইতিহাস বলে –

👉 ভয় দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে শুধু মমতা আর সম্মান দিয়ে।