চোরের মহা কাণ্ড
এক গ্রামে নতুন নতুন এক চোর আসে। গ্রামবাসীরা আগে শুনেছে “চোর মানেই বুদ্ধিমান, ছায়ার মতো আসে, ছায়ার মতো চলে যায়।”
কিন্তু এ চোরটা ছিল আসলে সর্বকালের সবচেয়ে গাধা চোর।
প্রথম দিন
রাতে সে ঢুকলো হেমায়েত কাকার বাড়িতে।
চুপচাপ আলমারি খুলে দেখে কিছু নেই।
হঠাৎ ফ্যান ঘুরছে দেখে মনে করলো, ওর ভেতরে সোনা–চাঁদা আছে!
চোর ফ্যান খুলতে গিয়ে ফ্যান ঘুরতেই তার মাথায় এমন ধাক্কা লাগলো—
👉 “ঠাসসসস!”
চোর মাটিতে লুট, পুরো বাড়ি কাঁপাকাঁপি!
হেমায়েত কাকা ঘুম ভেঙে এসে দেখে –
👉 “আরে, এ আবার কার লাশ?”
পাশে দাঁড়ানো বউ বললো –
👉 তুমি চিন্তা কইরো না, এই চোর আমাদের ফ্যানই বাঁচাইছে, নইলে লুকায়া নিয়ে যেতো।
দ্বিতীয় দিন
চোর আবার গেলো আরেকটা বাড়িতে।
বাড়ির মালিক ঘুমানোর আগে ঘরে লিখে রেখেছে –
👉 "চোর ভাই, কিছু নেয়ার দরকার নাই, কালই বাজার থেকে দেনা শোধ করতে টাকা ধার করবো।"
চোর এত রেগে গেলো যে লিখলো –
👉 "আমি তো চুরি করতে আসছি, ধার শোধ করতে না! এভাবে চোরের সাথে খেলা করিস কেন?"
চিঠি রেখে গেলো, কিন্তু ভুল করে নিজের নাম–ঠিকানাও লিখে ফেললো!
পরদিন গ্রামবাসী গিয়ে ধরা দিলো।
জেলখানার কাণ্ড
চোরকে জেলে ঢুকানো হলো।
জেলের ভেতর পুলিশ বললো –
👉 “কেন রে চুরি করিস?”
চোর উত্তর দিলো –
👉 “স্যার, আমি চুরি করি নাই, আমি তো শুধু পরীক্ষা করছিলাম কোন দরজা মজবুত।”
পুলিশ রেগে গিয়ে এক ধাপ মারলো।
চোর চিৎকার দিয়ে বললো –
👉 “স্যার, এইটা কি টর্চার নাকি ফ্রি ম্যাসাজ?”
জেলের সবাই হেসে গড়াগড়ি।
জেল থেকে বেরিয়ে
চোর ছাড়াও পেলো। আবার নতুন কাণ্ড।
এইবার সে দোকানে ঢুকলো।
ক্যাশবাক্স থেকে টাকা নিতে গিয়ে পাশে রাখা ডোনাট দেখে আর থাকতে পারলো না।
খেতে খেতে এমন মজা পাইল যে পুরো দোকানের ডোনাট খেয়ে ফেললো।
সকাল বেলায় দোকানদার দেখে ক্যাশবাক্সে টাকা ঠিকই আছে, কিন্তু সব ডোনাট উধাও!
চোর পাশেই শুয়ে ঢেঁকুর তুলছে –
👉 “টাকা রেখে দিছি, কেবল ডোনাট লইছি।”
গ্রামে শেষ বিচার
শেষে গ্রামের সবাই চোরকে ধরে মাইকে ঘোষণা দিলো –
👉 “এই চোর চুরি করতে পারে না, খালি নিজের কাণ্ডে মানুষকে হাসায়।”
চোর মাথা নিচু করে বললো –
👉 “আমার নাম চোর না, আমাকে কমেডি মাস্টার বলো।”
গল্পের শিক্ষা
👉 সব চোর খারাপ না, কারও কারও কাজ এতটাই ফালতু যে মানুষ হাসতে হাসতে দাঁত ভেঙে ফেলে।
👉 আর গ্রামের লোকজন ঠিক করলো – চোরকে আর শাস্তি না দিয়ে গ্রামের জোকার বানিয়ে দিলো।
