চিতাবাঘটি কুকুরটিকে তাড়া করছিল। কুকুরটি জানালা দিয়ে বাথরুমে ঢুকে পড়ে, কিন্তু বাথরুমটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।
চিতাবাঘও কুকুরের পেছন পেছন ঢুকে পড়ে, ফলে দুজনেই সেখানে আটকা পড়ে। কুকুরটি চিতাবাঘকে দেখে ভয় পেয়ে এক কোণে চুপচাপ বসে পড়ে।
ভয়ে সে একবারও ঘেউ ঘেউ করার সাহস করেনি।
যদিও চিতাবাঘটি ক্ষুধার্ত ছিল এবং কুকুরটিকেই তাড়া করছিল, তবুও সে কুকুরটিকে খায়নি।
চাইলেই সে সহজেই কুকুরটিকে ধরে রাতের খাবার বানাতে পারত, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তারা দুজন দুই কোণে প্রায় বারো ঘণ্টা একসঙ্গে কাটাল। এই দীর্ঘ সময় ধরে চিতাবাঘটিও শান্ত ছিল।
অবশেষে বন বিভাগ চিতাবাঘটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্র্যাঙ্কুলাইজার ডার্ট ব্যবহার করে তাকে বন্দি করে।
এখন প্রশ্ন হলো, যখন চিতাবাঘের জন্য কুকুরটিকে আক্রমণ করা এত সহজ ছিল, তখন সে তা করল না কেন?
বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বন্য প্রাণীরা স্বাধীনতার ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
যখনই তারা বুঝতে পারে যে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তখন তারা এতটাই মানসিক যন্ত্রণায় পড়ে যে ক্ষুধার কথাও ভুলে যায়।
তাদের স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহণের প্রবৃত্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে।
স্বাধীনতা ও সুখ একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। চিন্তার স্বাধীনতা, কাজের স্বাধীনতা, আর নিজের ইচ্ছামতো বাঁচার স্বাধীনতাই প্রকৃত সুখ।
