দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের।
এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা। নিজের স্বামীর জন্য রান্না-বান্না করা, নিজের ঘর পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করা ও নিজ সন্তানের লালন- পালন করাকে পরাধীনতা মনে করে। অথচ পর পুরুষের পায়ের তলা পরিষ্কার করা আর ময়লা, দুর্গন্ধময় নখ কেটে দেয়াকে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে।
বাস্তবতা হল- পশ্চিমাদের বানানো নারী স্বাধীনতা নিছক্ ধোঁকা ছাড়া কিছুই না। ঠিক মরীচিকার মতো; দূর থেকে দেখতে পানি জ্বলমল করছে মনে হলেও কাছে গেলে বিভীষিকাময় শুষ্ক মরুভূমির বালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।
অথবা বলতে পারো- ঠিক মরুভূমির চোরা বালির মত। ভরসার মনে করে পা' দিবে তো অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।
হ্যাঁ, তথাকথিত নারী স্বাধীনতার এটাই বাস্তবতা।
পুরুষ হতে কতটা কঠিন
পুরুষ হওয়া অত সোজা নয়, একটু বড় হওয়ার পর হঠাৎ করেই বুঝে যায় খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে হবে, পুরো সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে ।
ঘর বানানোর জন্য পুরুষকে ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে হয় বছরের পর বছর, মৃত্যুর আগে অব্দি হয়তো কখনো পাকাপাকিভাবে বাড়ি ফেরা হয় না ।
নির্বাক সৈনিকের মত লড়ে যায় বহুরূপীর মতো বিভিন্ন রূপে কখনো দাদা, কখনো ভাই, কখনো বা স্বামী , কখনো বাবা ।
পুরুষকে কখনো কাঁদতে দেখবেন না, কারণ সে জানে কাঁদলে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কাউকে পাশে পাওয়া যায় না । বিভিন্ন কারণে যদি স্ত্রীর সাথে ঝগড়াও হয়ে যায় সে, সে হয়তো চুপ করে থাকে বা এক বেলা না খেয়ে থাকে তবু তার কোন বাপের বাড়ি হয় না যেখানে গিয়ে সে তার অভিমানটা প্রকাশ করতে পারবে ।
যতই শিক্ষার ডিগ্রী থাকুক পুরুষের সম্মানটা তার উপার্জন এবং মূলধনের উপরে নির্ভর করে ।
পুরুষরা সমাজ, পরিবার ও সম্পর্কের ভিত গড়ে তোলে, অথচ তাদের আবেগ, সংগ্রাম ও স্বাস্থ্যের কথা অনেক সময় উপেক্ষা করা হয়।তাদের ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসাকে সম্মান জানাই💗

