অতিরিক্ত বউ-পাগলা মানুষের গল্প
ভালোবাসা জিনিসটা দারুণ।
স্ত্রীকে ভালোবাসা মানে সংসারের শক্তি, জীবনের রঙ।
কিন্তু যখন সেই ভালোবাসা অতিরিক্ত আসক্তি হয়ে যায়, তখন সেটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
অনেক মানুষ আছে—
স্ত্রী ছাড়া কিছু ভাবতে পারে না।
বন্ধু হারিয়ে যায়, আত্মীয়রা দূরে সরে যায়, নিজের স্বপ্ন, লক্ষ্য সবকিছু স্ত্রীর চারপাশে ঘুরতে থাকে।
প্রথম দিকে স্ত্রী হয়তো খুশি হয়, ভাবে—
“আমার স্বামী আমাকে পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসে।”
কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ভালোবাসা হয়ে যায় চাপ।
কারণ—
যখন কেউ সবসময় শুধু একজনকেই ঘিরে রাখে, তার প্রতিটি হাসি, প্রতিটি চোখের পলক, প্রতিটি কথা নিয়ন্ত্রণ করে,
তখন সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, সেটা হয়ে যায় শ্বাসরোধ।
স্ত্রী যদি বাজারে যায়—সে পিছে পিছে।
স্ত্রী যদি ফোনে কথা বলে—সে কানে শোনে।
স্ত্রী যদি একটু সাজে—সে ভাবে, কার জন্য সাজছে?
স্ত্রী যদি হাসে—সে ভাবে, অন্য কারও জন্য হাসছে।
এই যে সন্দেহ, এই যে অতিরিক্ত আঁকড়ে ধরা—
একসময় সেই স্ত্রী-ই হাঁসফাঁস করতে থাকে।
ভালোবাসার জায়গা থেকে শুরু হয়ে যায় অশান্তি।
স্ত্রী ভাবে—
“আমাকে ভালোবাসছে না, আমাকে বন্দি করে রাখছে।”
অবশেষে অনেক সময় দেখা যায়—
স্ত্রী সেই সংসারেই টিকে থাকতে পারে না।
কারণ মানুষ ভালোবাসায় বাঁচতে চায়,
কিন্তু শিকলে বাঁধা ভালোবাসা তাকে পুড়িয়ে ফেলে।
বাস্তব শিক্ষা
👉 স্ত্রীকে ভালোবাসা দোষ নয়,
👉 স্ত্রীকে যত্ন করা মহৎ কাজ,
কিন্তু স্ত্রীকে নিজের পৃথিবীর কেন্দ্র বানিয়ে, নিজের সবকিছু হারিয়ে ফেলা আসলে বোকামি।
কারণ স্ত্রী যেমন স্বামীকে ভালোবাসে, তেমনি চায় স্বামীর নিজস্ব একটা দুনিয়া থাকুক—
স্বপ্ন থাকুক, কাজ থাকুক, লক্ষ্য থাকুক।
যখন স্বামী শুধু “বউ, বউ, বউ” করতে থাকে, তখন সেই বউ-ই একসময় হারিয়ে যায়,
কারণ মানুষ অতিরিক্ত আঁকড়ে ধরা সম্পর্ক সহ্য করতে পারে না।
👉 তাই বলা যায়—
বউয়ের জন্য পাগল থাকা সুন্দর,
কিন্তু অতিরিক্ত পাগল হওয়া ভয়ংকর।