পুরুষের জীবন নষ্ট করতে বাহিরের শত্রু দরকার নেই, রাগী স্ত্রী-ই যথেষ্ট

বিবাহিত জীবনের নীরব অভিশাপ

বিবাহিত জীবনের নীরব অভিশাপ

বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষ যতই দায়িত্বশীল, পরিশ্রমী আর সৎ হোক না কেন, তার সব স্বপ্ন এক মুহূর্তেই ভেঙে যেতে পারে। বাহিরের সমস্যাগুলো যত বড়ই হোক, একজন পুরুষ লড়াই করে টিকে থাকতে পারে। কিন্তু ঘরের ভেতরে যদি শান্তি না থাকে, তবে সেই লড়াই একসময় অর্থহীন হয়ে পড়ে।

একজন বদমেজাজি, রাগী স্ত্রী একজন পুরুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সে বুঝতে পারে না—প্রতিদিনের খিটখিটে আচরণ, অকারণে ঝগড়া, সন্দেহ আর অপমান ধীরে ধীরে একজন মানুষকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়।

দিনের পর দিন বাইরে কাজ করে ক্লান্ত শরীরটা যখন একটু বিশ্রাম খোঁজে, তখন শান্তির পরিবর্তে যদি অপেক্ষা করে তর্ক-বিতর্ক, তবে সেই পুরুষ ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ে।

বাইরে মানুষ তাকে সম্মান দিলেও, ঘরে সে অপমানিত হয়।

বাইরে তার পরিশ্রমের মূল্য থাকলেও, ঘরে তার কোনো কদর থাকে না।

বাইরে সে হাসিমুখে চলাফেরা করলেও, ভেতরে সে কাঁদতে থাকে।

এই ধরণের সংসারে পুরুষের জীবন ধীরে ধীরে নরকে পরিণত হয়। সে নিজের স্বপ্নগুলোকে ভুলে যায়, হাসি-আনন্দ থেকে দূরে সরে যায়। অনেক সময় সে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একসময় সে শুধু নিঃশব্দে বেঁচে থাকে, কিন্তু আসল অর্থে জীবিত থাকে না।

সত্যিটা হলো—একজন পুরুষকে ধ্বংস করতে দারিদ্র্য, অসুখ বা শত্রু দরকার হয় না। শুধু একটি বদমেজাজি, রাগী স্ত্রী-ই যথেষ্ট, যিনি প্রতিদিন তার শান্তি কেড়ে নিয়ে ধীরে ধীরে তাকে জীবন্ত লাশে পরিণত করতে পারেন।