বাস্তব গল্প: বিবাহ বিচ্ছেদের পর সন্তানের ভবিষ্যৎ
রিয়াদ আর নাদিয়ার সংসারটা একসময় ছিল অনেক সুখের। দুজনের ভালোবাসায় জন্ম নিয়েছিল তাদের একমাত্র সন্তান তামিম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি বড় হতে থাকে। তর্ক, অভিমান আর অভিযোগের দেয়াল এত উঁচু হয়ে যায় যে, একসময় সম্পর্কটা ভেঙে পড়ে।
বিচ্ছেদের সময় সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল—তাদের সন্তান কার কাছে থাকবে? রিয়াদ চেয়েছিল ছেলেকে নিজের কাছে রাখতে, কিন্তু নাদিয়াও সন্তানকে ছেড়ে থাকতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, মা যেহেতু শিশুর দেখভালের জন্য বেশি উপযুক্ত, তাই তামিম থাকবে মায়ের কাছে, কিন্তু রিয়াদও নিয়মিত দেখা করতে পারবে।
বিচ্ছেদের পর তামিম বাবাকে মিস করত, কিন্তু মা-বাবার মধ্যে টানাপোড়েন দেখে তার ছোট্ট মনটা আরও আহত হতো। সে চেয়েছিল, বাবা-মা দুজনই তার পাশে থাকুক। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা এমনই যে, সব ইচ্ছা পূরণ হয় না।
নাদিয়া অনেক কষ্ট করে তামিমকে বড় করল, কিন্তু বাবার অভাবটা কখনো পূরণ হয়নি। অন্যদিকে, রিয়াদও ছেলের হাসিটা কাছ থেকে দেখতে না পারার বেদনা নিয়ে বেঁচে রইল।
স্ট্যাটাস: বিবাহ বিচ্ছেদ ও সন্তানের কষ্ট
1. বিচ্ছেদের কষ্ট বাবা-মায়ের জন্য যতটা, সন্তানের জন্য তার চেয়েও বেশি।
2. সন্তানকে নিয়ে টানাহেঁচড়া না করে, তাকে ভালোবাসা দিন—সে মা-বাবা দুজনকেই চায়।
3. বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভাঙলেও, সন্তানের হৃদয়ে যেন সেই ফাটল না পড়ে।
4. বিচ্ছেদ শুধু দুইজন মানুষের নয়, একটি শিশুর শৈশবকেও বদলে দেয়।
5. বাবা-মায়ের ভুলের জন্য কেন সন্তানের শাস্তি? সে তো শুধু ভালোবাসা চায়!
6. একজন মা হয়তো সন্তানের দেখভাল করতে পারে, কিন্তু বাবার ভালোবাসার অভাব কে পূরণ করবে?
7. বিচ্ছেদের পর সন্তান মা-বাবার মধ্যে না পড়ে, বরং তাদের স্নেহে বেড়ে উঠুক।
8. বিচ্ছেদ মানে নতুন সম্পর্কের সমাপ্তি, কিন্তু সন্তানের জন্য ভালোবাসা কখনো শেষ হওয়া উচিত নয়।
9. একটি সন্তান তার বাবার ছায়া, আবার মায়ের আলো—তাকে একপাশে রেখে ভালোবাসা দেওয়া সম্ভব নয়।
10. সন্তানের ভবিষ্যৎ বাবা-মায়ের সম্পর্কের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।