বাস্তব গল্প: স্বাধীনতা কি এমন? | নারীদের জীবন ধংস থেকে বাঁচতে স্টোরি

বাস্তব গল্প: স্বাধীনতা কি এমন?

বাস্তব গল্প: স্বাধীনতা কি এমন?

সাবিহা ছোটবেলা থেকেই খুব সাহসী, স্বাধীনচেতা মেয়ে।

সে সবসময় বলত,

> “আমার জীবন আমি যেমন চাই তেমনভাবে চালাবো।

আমাকে কেউ থামাতে পারবে না।”

স্কুল-কলেজে ভালো রেজাল্ট, সুন্দর মুখ, চটপটে ব্যবহার—সব মিলিয়ে চারপাশের মানুষের কাছে প্রিয় ছিল।

তবে এক জিনিস ছিল, সে কারো কথা শুনত না।

মা বললে বলত,

> “মা, আমি তোমার যুগে নেই। এখন সময় বদলেছে।”

বাবা একটু সাবধান করলেই বলত,

“বাবা, মেয়েদের স্বাধীনতা মানেই এখন শক্তি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেই সে পুরোপুরি বদলে গেল।

মিডিয়া ও ফ্যাশন দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ল।

পোশাকে হালকা পরিবর্তন,

তারপর ধীরে ধীরে সাজগোজ, ছবি, ভিডিও,

আর সেগুলোর লাইকে মেতে উঠল।

বন্ধুরা উৎসাহ দিত, বলত—

> “তুই তো এখন অনেক স্মার্ট!”

কেউ কেউ বলত—

“তুই এখন ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল মডেল!”

কিন্তু ধীরে ধীরে তার পাশে থাকা বন্ধুদের মধ্যে ভিন্ন রকম আচরণ শুরু হয়।

কিছু ছেলে বন্ধু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শুধু শরীর নিয়েই কথা বলত,

তারা বলত,

> “তুই যদি এত খোলামেলা থাকিস, তাহলে একটু মজা তো চলতেই পারে, তাই না?”

সাবিহা কষ্ট পেত, রাগ করত,

তবু বলত—

> “এটাই তো স্বাধীনতা! আমার শরীর, আমার ইচ্ছা!”

কিন্তু সে বুঝতে পারেনি, সেই ‘স্বাধীনতা’ আসলে তাকে একা করে দিচ্ছে।

দিন যায়, রাত আসে,

কিছু সম্পর্ক হয়, আবার ভেঙে যায়।

সবাই শুধু তার রূপ বা শরীরের প্রশংসা করে,

কিন্তু কেউ তার পাশে সৎভাবে থাকতে চায় না।

একদিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, হাসপাতালে ভর্তি।

সেই ‘ফলোয়ার’, ‘বন্ধু’, ‘প্রেমিক’, ‘আত্মীয়’—কেউ পাশে নেই।

শুধু মা চুপচাপ পাশে বসে চোখ মুছে দেয়।

সাবিহা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করে…

এই স্বাধীনতা কি সত্যিই তাকে কিছু দিয়েছে?

নাকি সব কিছু কেড়ে নিয়েছে?

---

শেষ দৃশ্য:

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাবিহা আয়নায় নিজেকে দেখে।

চোখে ক্লান্তি, মুখে হতাশা।

সে বলে:


> “আমি চাইছিলাম মুক্ত জীবন,

কিন্তু বুঝিনি শরীর দেখিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা মানেই সব নয়।

সম্মান, বিশ্বাস, পরিবার—এসব হারিয়ে গেলে

স্বাধীনতা বলতে আর কিছু থাকে না।”

---

গল্প থেকে শিক্ষা:

“স্বাধীনতা মানে নিজের ইচ্ছেমত চলা নয়,

বরং নিজের সম্মান, মূল্যবোধ আর আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচা।”

সাবিহা আজ হয়তো একা,

তবে সে এবার শিখেছে—

আসল স্বাধীনতা মানেই দায়িত্ব, সীমা ও আত্মসম্মান।

Disclaimer / Story Policy

This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.

We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.

If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.

"এই গল্পটি ‘জীবন যুদ্ধ গল্প.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com