খারাপ ও কষ্টের বাস্তব স্ট্যাটাস
তখনই মানুষ বদলে যায়, যখন সে বোঝে তার কাঁধে কান্নার জন্য কেউ নেই। তাই সে আর কাউকে বিশ্বাস করতে শেখে না।
সবার কাছেই আমি গল্পের নায়ক, কিন্তু আমার বাস্তব জীবনের কান্নার কেউ সাক্ষী নয়।
যখন নিজে ভেঙে পড়ি, তখন যারা কাছে আসার কথা, তারাই প্রথম সরে যায়। তবু আমি দাঁড়িয়ে থাকি, যেন কিছু হয়নি।
যে মানুষটা প্রতিদিন হাসে, তার ভেতরে সবচেয়ে গভীর কষ্ট লুকানো থাকে। এই কষ্ট কাউকে বলার মতো কেউ থাকেও না।
একদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, আর সেইদিন আমি বুঝেছিলাম— যারা কাঁদতে দেখেছে, তারাও আসলে দেখতে চেয়েছিল, বুঝতে নয়।
একজন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়, আরেকজন সবসময় পাশে থাকে— মাঝখানে আমি, যাকে কেউ চেনে না।
ভালোবাসার অভাব যতটা না কষ্ট দেয়, তার চেয়ে বেশি কষ্ট দেয় প্রিয়জনের দূরত্ব।
মনের দরজা খোলা রেখেছিলাম বিশ্বাস করে, কিন্তু যারাই এসেছিল, সবাই শুধু হাওয়া হয়ে গেছে।
কিছু কিছু মানুষ থাকে, যারা শুধু প্রয়োজন ফুরালে দূরে সরে যায়। আমি তখন বোঝি, কষ্ট আসলে নীরবতাতেই সব বলে।
সবাই বলে, কষ্ট ভাগ করলে হালকা হয়। আমি ভাগ করে দেখেছি, মানুষ পালিয়ে যায়।
নিজেকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে একদিন দেখলাম, আমি সান্ত্বনা দিতেও ক্লান্ত।
সবাই বুঝতে চায়, আমি কেন বদলে গেছি। কেউ জানার চেষ্টা করে না, কী কী ভাঙচুর পেরিয়ে আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে।
ভালো থাকার অভিনয়টা এমন নিখুঁত করেছি, কেউ বুঝতেই পারেনি আমি কবে শেষ হয়ে গেছি।
যারা বলে “আমি আছি”, তারাই সবচেয়ে আগে চলে যায়। এই বাক্যটা এখন কেবল শব্দ, অনুভব নয়।
রাতে যখন সবাই ঘুমায়, তখন আমার চোখ জেগে থাকে, শুধু ভাবি— কে ছিল, আর কে নেই।
তুমি হয়তো ভাবো, আমি ভুলে গেছি। কিন্তু আমি শুধু মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি, কারণ আর ঘুরে তাকানোর মতো মানুষ নেই।
প্রতিবার কষ্ট পেলে ভাবি, এবার কেউ পাশে থাকবে। কিন্তু প্রতিবারই প্রমাণ মেলে, কষ্ট একান্তই আমার নিজস্ব সম্পদ।
সবাই আমার গল্প শুনতে চায়, কিন্তু আমার নীরবতা কেউ পড়ে না। এই নীরবতাতেই কষ্টগুলো রাত্রি পেরোয়।