স্বামীর পরকীয়ার জন্য কে দায়ী
নিজেকে ভালোবাসতে শেখো, স্বামীকে ভালোবাসার আগে। কারণ তুমি যদি নিজের সৌন্দর্য ভুলে যাও, সে একদিন অন্য কারো সৌন্দর্যে হারিয়ে যাবে।
সাজা মানে শুধু গয়না পরা নয়। নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া, স্বামীকে মুগ্ধ রাখা—এটাই পরকীয়া ঠেকানোর এক নম্বর ওষুধ।
নারী যদি নিজের সৌন্দর্যের প্রতি উদাসীন হয়, তবে পুরুষ অন্য কারো রঙে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। সংসার তখন ভাঙে নিঃশব্দে।
একটা সময় আসে, যখন স্বামী বাড়ির স্ত্রীর অনাদরে ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন বাইরের কারো আদরে সে শান্তি খোঁজে।
সব স্বামী খারাপ নয়, কিন্তু স্ত্রীর উদাসীনতা, সৌন্দর্যের প্রতি অবহেলা ধীরে ধীরে তাদের ঠেলে দেয় নিষিদ্ধ সম্পর্কে।
তোমার স্বামী তোমাকে প্রথম যেদিন ভালোবেসেছিল, সেই সাজটাই সে আজও খোঁজে। কিন্তু তুমি যদি এখন আয়নার সামনে দাঁড়াতে না চাও, ভালোবাসা একতরফা হয়ে যায়।
নিঃশব্দে ভালোবাসা হারিয়ে যায়, যখন স্ত্রী নিজের সৌন্দর্যকে অবহেলা করে। আর তখনই পরকীয়া বলে—‘আমি এসেছি’।
নিজের সৌন্দর্যের যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়, এটা একজন স্ত্রীর দায়িত্ব। কারণ একজন স্বামী চায়, তার স্ত্রীকে দেখেই মন ভরে উঠুক।
যে নারী ভাবে সংসার মানেই দায়িত্ব আর ত্যাগ, সে ভুলে যায়—সম্পর্ক টিকে থাকে চাওয়াপাওয়ার ভারসাম্যে। সৌন্দর্য সেই চাওয়ার একটা বড় অংশ।
বিয়ের পর নারীরা যদি মনে করে সাজগোজ শুধু বিয়ের দিন পর্যন্ত, তবে তারা অজান্তেই তাদের স্বামীর চোখের স্বপ্ন মুছে দেয়।
সাজ না করলেও হবে, কিন্তু নিজেকে গুছিয়ে না রাখলে, সম্পর্ক কেবল দায়িত্ব হয়ে যায়, ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
নিজের সৌন্দর্য লুকিয়ে রেখে কখনোই ভালোবাসা টেকানো যায় না। পুরুষ দেখতেও ভালোবাসে, যেমন শুনতেও। সৌন্দর্যের যত্ন মানে সম্পর্কের যত্ন।