বেশিরভাগ নারী এখন নষ্ট | বর্তমান সমাজে কিছু নারী

 বেশিরভাগ নারীর সতীত্ব নষ্ট কারণ

বেশিরভাগ নারীর সতীত্ব নষ্ট কারণ

বর্তমান সমাজে কিছু নারীর মূল্যবোধে পরিবর্তনের পেছনে কিছু বাস্তব কারণ:

১. সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাপ:

অনেক নারী আজ আত্মনির্ভরশীল হতে চায়। কখনো কখনো এই পথ সহজ হয় না। স্বাধীনতা পেতে গিয়ে কেউ কেউ হয়তো ভুল পথে গিয়ে পড়ে — যেমন অর্থের প্রলোভন, লাইফস্টাইলের লোভ, বা সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিম জগতে হারিয়ে যাওয়া।

২. ভেঙে যাওয়া পরিবার:

অনেক পরিবারে ভালোবাসা, সম্মান, নৈতিক শিক্ষা থাকে না। শিশুকাল থেকেই যদি একজন কন্যা সন্তান অভিভাবক থেকে আদর্শ না পায়, তখন তার নৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে বড় হয়ে সে নিজের জীবনের পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার:

বর্তমান সময়ের অনেক নারী অনলাইন জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটে — ফলোয়ার, লাইক, বাহবা এসবই হয়ে উঠেছে আত্মসম্মান যাচাইয়ের মাপকাঠি। এর ফলে অনেকে নিজের ব্যক্তিত্ব বা মূল্যবোধ বিসর্জন দেয়।

৪. প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতা:

বেশিরভাগ নারীর জীবনে কখনো না কখনো একতরফা প্রেম, ধোঁকা বা বিশ্বাসঘাতকতার অভিজ্ঞতা থাকে। অনেকেই এরপর ভালো-মন্দের হিসাব না করে কেবল প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিজেই ভুল পথে চলে যায়।

৫. মিডিয়া ও বিনোদনের প্রভাব:

নাটক, সিনেমা বা বিজ্ঞাপনে নারীদের যৌনতা ও বাহ্যিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দেওয়ায় অনেকেই ভাবে সেটাই জীবনের সফলতা। বাস্তবতাকে ভুলে গিয়ে তারা ফাঁপা গ্ল্যামার দুনিয়ায় হারিয়ে যায়।

৬. পুরুষতান্ত্রিক অবজ্ঞার প্রতিক্রিয়া:

অনেক নারী জীবনের প্রতিটি স্তরে অবহেলা, নির্যাতন বা অবজ্ঞার শিকার হয়। পরিণতিতে তারা একসময় পুরুষদের দোষারোপ করে নিজেই ‘সব ঠিক আছে’ মনে করে নিজের ভুলকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে।

৭. প্রকৃত শিক্ষার অভাব:

শিক্ষা মানেই স্কুলের ডিগ্রি নয় — মানসিক পরিপক্বতা, আত্মসংযম, আত্মসম্মান এবং জীবন মূল্যবোধ শেখানোই আসল শিক্ষা। এই দিক থেকে এখন অনেকেই পিছিয়ে পড়ছে, যার কারণে তারা জীবন গড়ার পথে স্থির থাকতে পারছে না।

৮. প্রতিযোগিতার সমাজে টিকে থাকা:

"কে কত ধনী, কে কত সুন্দর, কে কত স্টাইলিশ" — এসব প্রতিযোগিতা সমাজে দিনদিন বাড়ছে। এতে অনেক নারী নিজের অবস্থান ধরে রাখতে গিয়ে নিজের সত্যিকারের পরিচয় হারিয়ে ফেলে।

---

ছোট আলোচনা:

নারী হোক বা পুরুষ — নৈতিক অবক্ষয় কারো একার সমস্যা নয়, এটা গোটা সমাজেরই ব্যর্থতা। পরিবারের শিক্ষা, সমাজের সংস্কৃতি, মিডিয়ার প্রভাব এবং পারস্পরিক সম্পর্ক — সবকিছুর সম্মিলিত প্রতিফলন আমরা মানুষের আচরণে দেখি।

সুতরাং দোষারোপ নয়, দরকার সহানুভূতি ও সমাধান।

নারীদের গঠনমূলক দিক তুলে ধরলে, ভালোবাসা ও সম্মান দিলে, তারা সমাজের শ্রেষ্ঠ সহচর হতে পারে — এটাই সত্য।