প্রচন্ড একটা হাসির ☺ গল্প পড়ুন | হাসির গ্রাম হাসিপুর

“হাসির গ্রাম হাসিপুর”

হাসির গ্রাম হাসিপুর

গ্রামের নাম হাসিপুর।

এই গ্রামটা অন্যসব গ্রামের মতো নয়—এখানে জন্ম থেকে মানুষদের মধ্যে হাসির ভাইরাস থাকে।

যে হাসে না, সে দিনই খাবারে লঙ্কা পড়ে, নাকি জুতো উড়ে আসে—শুধু তাই নয়, পাশের মানুষ তাকাতেই পেট ফেটে যায়। 😆

গ্রামের সব মানুষই হাসতে হাসতে পাগল।

দিন শুরু হয় কেঁচো বাগানের পাশ দিয়ে, যেখানে বাচ্চারা একে অপরকে তেলে ধুয়ে মাখে, আর সবাই হাসতে হাসতে হাঁপিয়ে যায়।

প্রথম মজা: লাফিয়ে ওঠা রুটি

একদিন রাহুল নামের ছেলে স্কুল থেকে ফিরছিল।

পকেটে ছিল টিফিন। হঠাৎ তার পা পিছলে টিফিন বাতাসে লাফ দিলো।

রুটি, ডিম, সামোসা উড়ে-উড়ে মানুষের মাথায় পড়লো।

শিশুরা হেসে হেসে মাটিতে লুটোপুটি খেললো।

রাহুল লজ্জা পেলো, কিন্তু হাসি থামানো সম্ভব নয়।

সকলেই চিৎকার করে—

> “দেখো! হাসির শহরে রুটি কতো দুষ্টু।”

দ্বিতীয় মজা: দুষ্টু বানর

হুলহুলপুরে এলো বানরবাবু, বাজারের দুষ্টু বানর।

পেঁয়াজের ঝুড়ি উল্টো করে ফেললো, আর পেঁয়াজ উড়ে মানুষের মাথায় পড়লো।

মানুষরা হাসতে হাসতে ফেলে পড়লো।

বানরবাবু হেসে বললো—

> “দেখছো, আমার দুষ্টু বানরও হাসি আনতে পারে!”

তৃতীয় মজা: নাচতে গরু

রাধা নামে এক মহিলা গ্রামের ময়দানে গরু নিয়ে এল।

গরুটি হঠাৎ নেচে উঠলো, ঝাঁপিয়ে পড়লো, পেছনে ফসল ভেঙে গেল।

মানুষ হেসে হেসে পাগল হয়ে গেলো।

রাধা চিৎকার করে—

> “গরু, থাম! ওরা হাসতে হাসতে মরছে!”

কিন্তু গরু থামলো না, আর মানুষের হাসি থামলো না।

হাসির মিলন

সব মজা একসাথে মিললো।

উড়ন্ত রুটি,

নাচতে বানর,

ঝাঁপিয়ে পড়া গরু।

গ্রামের মানুষ একত্র হলো মাঠে।

সকলেই চিৎকার করে হাসলো—মুখে পানি, পেটে ব্যথা, চোখে জল।

শহরের নামের মতোই—হাসিপুরে হাসি থামানো অসম্ভব। 😆

জীবন মানে হাসি।

ছোট ছোট দুষ্টু ঘটনা, দুষ্টু বানর, নাচা গরু—সবই হাসির উপাদান।

সত্যিকারের আনন্দ মানে হাসতে হাসতে পাগল হওয়া, আর তা একদিন থামানো যায় না।