কেল্টু-বল্টুর "ম্যাজিক মোবাইল" কাণ্ড
গ্রামে সবাই কেল্টু-বল্টুকে চেনে –
কেল্টু হলো হাড়জিরজিরে রোগা,
আর বল্টু হলো বিশাল থলথলে মোটা।
দুইজনের কাজই হলো দিনভর ফাজলামি করা।
একদিন বাজারে গিয়ে কেল্টু-বল্টু একটা মোবাইল কিনল।
সেটা আবার চাইনিজ ব্র্যান্ডের, যার নামই "স্মার্টফোন 3000"।
দোকানদার বলল –
👉 “এই মোবাইল কথা বলে, গান গায়, এমনকি জোকসও বলে।”
শুনে কেল্টু-বল্টুর চোখ চকচক করে উঠল।
প্রথম অভিজ্ঞতা – ভয়ংকর কল
রাতে মোবাইলটা চালু করতেই মোবাইল থেকে আওয়াজ এল –
👉 “হ্যালো কেল্টু, খাইছো?”
কেল্টু ভয়ে লাফ দিয়ে বল্টুর গলায় ঝুলে গেল –
“রে বাবারে! মোবাইলটা ভূত!”
বল্টু হেসে বলল –
“বোকা! এটাই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট।”
কেল্টু সাহস করে আবার মোবাইলে বলল –
“আমারে ভাত এনে দে।”
মোবাইল উত্তর দিল –
👉 “ডেলিভারি চার্জ লাগবে।”
😂😂
দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা – প্রেমের ফাজলামি
বল্টুর মাথায় শয়তানি চেপে বসলো।
সে গ্রামের সুন্দরী রূপা’র নাম্বার বের করল।
ফোন দিয়ে কেল্টুকে বলল –
“যাও, প্রেমের কথা বল।”
কেল্টু গলা কাঁপিয়ে বলল –
👉 “হ্যালো রূপা, তুমি কি জানো আমার হৃদয় কেমন?”
রূপা উত্তর দিল –
👉 “হ্যাঁ, কেল্টু, তোর হৃদয় তো নিশ্চয়ই ডিম ভাজার কড়াইয়ের মতো!”
সবাই হেসে মরল। 😂
তৃতীয় অভিজ্ঞতা – পুলিশ কাণ্ড
একদিন ভুল করে কেল্টু মোবাইলে পুলিশের নাম্বার ডায়াল করে ফেলল।
কেল্টু তো ভেবেছে ওটা আবার রূপা’র নাম্বার।
সে শুরু করল –
👉 “হ্যালো রূপা, আমি কেল্টু, আজকে তোমার জন্য ফুল তুলছি।”
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বলল –
👉 “কে রে? ফুল তোলো না, থানায় চলে আয়।”
তারপর তো কেল্টু-বল্টু ভয়ে দৌড় শুরু করল,
একজন মোবাইল হাতে, আরেকজন মোবাইল লুকানোর চেষ্টা করছে!
চূড়ান্ত কাণ্ড – ম্যাজিক মোবাইল ফেটে গেল
শেষে তারা ঠিক করল –
“মোবাইল দিয়ে গান শোনা যাক।”
কেল্টু গান চালাল – “ওরে আমার চ্যাপ্টা পেট...”
বল্টু তখন মজা করে মোবাইলে চাপ দিয়ে বলল –
“এখন নাচাও!”
হঠাৎ মোবাইল থেকে ধোঁয়া বেরোতে লাগল,
মোবাইল চিৎকার করে উঠল –
👉 “তোমরা দুইজন বোকা, আমায় শান্তিতে থাকতে দাও।”
মোবাইলটা ফটাস করে ফেটে গেল।
কেল্টু-বল্টু তখন অন্ধকারে বসে শুধু চিৎকার করছে –
“ভূত বের হইছে, ভূত!”
😂😂😂😂
সেইদিন থেকে গ্রামের সবাই বলে –
👉 “কেল্টু-বল্টুকে মোবাইল দিও না, ওরা ফোনকে বিয়ে করার প্ল্যান করে ফেলে।”
