উপার্জন করতে শিখো, নয়তাে অযােগ্য ব্যক্তিরাও কথা শুনাবে

উপার্জন না শিখলে সম্মান মেলে না

উপার্জন না শিখলে সম্মান মেলে না

আজকের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার নিয়ম বদলে গেছে। আগে মানুষ মাটির ওপর নির্ভর করে চলত, এখন চলে দক্ষতার ওপর। এখন যে ব্যক্তি নিজের উপার্জন নিশ্চিত করতে পারে না, তাকে শুধু দারিদ্র্য নয়, চারপাশের মানুষের অবহেলাও সহ্য করতে হয়। বাস্তবতা যতই তেতো হোক, এটাই সত্যি।

একজন মানুষ যখন অর্থহীন থাকে, তখন তার ভালো কাজ, ভালো মন আর মেধা সবই ঢাকা পড়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সমাজ—সবাই ধীরে ধীরে তাকে ‘অযোগ্য’ ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। যে কথাগুলো মুখে আনে না, সেগুলোও চোখের ভাষায় বোঝায়—“তুমি কিছুই নও।” কিন্তু একই ব্যক্তি যদি নিজেকে তৈরি করে, নতুন কিছু শিখে, উপার্জন শুরু করে, তখন সেই একই সমাজ আবার সম্মান দেয়।

ধরা যাক, কামরুল নামে একজন তরুণ। মেধাবী, ভদ্র, মানুষের উপকার করে—সবই আছে, শুধু উপার্জন নেই। বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় কেউ তাকে পাত্তা দেয় না। আত্মীয়রা আড়ালে বলে—“ছেলেটা কিছুই করতে পারল না।” এমনকি যাকে সে পছন্দ করে, সেই মেয়েটিও পরিবারের চাপে অন্য কারো সঙ্গে বিয়ে করে ফেলে।

কিন্তু কামরুল হাল ছাড়ে না। নিজের হাতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে—এই সিদ্ধান্ত নেয়। অনলাইনে কোর্স করে নতুন স্কিল শেখে, ছোট চাকরি দিয়ে শুরু করে, রাতজেগে কাজ করে। ধীরে ধীরে আয় বাড়ায়, নিজের একটা ছোট ব্যবসা দাঁড় করায়। পাঁচ বছর পরে সেই কামরুলই এক সফল উদ্যোক্তা। আজ তার সেই বন্ধু-বান্ধবই কামরুলের সাফল্যের গল্প শোনায়। যারা একসময় অপমান করত, আজ তারা তার সাহায্য চায়।

এই বাস্তব গল্পটা থেকে যা শেখার—

উপার্জন মানুষকে শুধু অর্থ দেয় না, দেয় মর্যাদা, আত্মবিশ্বাস আর স্বাধীনতার স্বাদ।

দক্ষতা আর পরিশ্রমের ওপর ভরসা করলে, অযোগ্যদের কণ্ঠস্বর একসময় থেমে যায়।

নিজের আর্থিক সক্ষমতা তৈরি করতে পারলে অন্যের কাছে ছোট হতে হয় না।

আজকের সমাজে ভালো মন, ভালো নীতি যতই থাকুক, তা কেবল তখনই আলো ছড়ায় যখন তার সঙ্গে যোগ হয় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি। তাই উপার্জন শেখা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার লড়াই।

যারা এখনো ভাবছে “সময় আছে”—তাদের জন্য এই কনটেন্টটাই চোখ খুলে দেওয়ার মতো। নিজের যোগ্যতা বাড়াও, নতুন দক্ষতা শেখো, উপার্জন শুরু করো। নয়তো যাদের তুমি আজ ‘অযোগ্য’ মনে করো, তারাও তোমাকে উপহাস করবে।