রাগের বাদশা আর বুইড়া জামাই
এক গ্রামে ছিল দু’জন মানুষ—রফিক আর তার স্ত্রী নাজমা। রফিক সাহেব গ্রামের চোখে “ভদ্রলোক”, কিন্তু ভদ্রলোক মানেই যে সব সময় শান্ত, তা নয়। রফিক একবার রেগে গেলে মনে হবে উনি গ্রামের বাদশা! একদিন বাজারে গিয়ে মাছওয়ালা তাকে ছোট একটা মাছ দিলো। রফিক রাগে বলে উঠলো—
“আমি বাদশা রফিক! আমার সাথে এভাবে আচরণ করিস? আমি তোকে ঠিক করেই ছাড়বো!”
গ্রামের লোকজন হেসে বললো—“বাদশাহের বাজেট দেখো, আধা কেজি মাছ কিনতে গিয়ে বাদশাহি ঘোষণা!”
কিন্তু তার স্ত্রী নাজমা? আহারে! উনি যদি রেগে যান, তাহলে পুরো বাড়ি মনে হয় কোর্ট-কাচারি! একদিন নাজমা রান্না করছিলেন, আর রফিক চুপিচুপি হাঁড়ি থেকে এক টুকরো মাংস তুলে খেয়ে ফেললো। নাজমা খেয়াল করে বললো—
“রফিক! হাঁড়ির মাংস কে খেলো?”
রফিক কাঁপা গলায় বললো—“আমি বাদশা, আমি যা চাই তাই করবো।”
নাজমা তখন রেগে গিয়ে কড়া গলায় বললো—
“তাহলে বাদশার ঘুম হোক খোলা আকাশের নিচে, খাটে নয়!”
সেদিন রাতে বাদশা সাহেব মশারি ছাড়াই উঠোনে ঘুমিয়েছিল, আর গ্রামে সবাই তাকে ডাকা শুরু করলো—“বুইড়া জামাই বাদশাহ”। 😆
এরপর থেকে রফিক বুঝলো, পুরুষ রাগ করলে সত্যিই কিছুক্ষণের জন্য বাদশার মতো লাগে, কিন্তু নারী রাগ করলে সেই বাদশা হয়ে যায় “বউয়ের সামনে বুইড়া জামাই”।