বউ, বিউটি পার্লার আর নকিয়া ১১১০ এর গল্প
বিয়ে হয়েছে মাত্র দুইদিন। জামাই সাহেব তখনো মধুচন্দ্রিমার মিষ্টি স্বপ্নে ভাসছে। বউ যখন বাসর রাতে এসে পর্দা সরিয়ে মুখ দেখালো, তখন মনে হলো—“বাহ্! দুনিয়ার সব পরীর মা একসাথে নেমে এসেছে।” জামাই বউকে দেখে এত খুশি হয়েছিলো যে রাতেই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো—“যে বিউটি পার্লার এই শিল্পকর্ম বানিয়েছে, আমি তাদেরকে পুরস্কার দেবো।”
দুইদিন পর জামাই সাহেব কৃতজ্ঞ হৃদয়ে গেলেন সেই বিউটি পার্লারে। পার্লারের মালকিনি তাকে দেখে অবাক, ভাবলো হয়তো নতুন বউয়ের আবার মেকআপ লাগবে। কিন্তু জামাই গম্ভীর মুখে বললো—
👉 “আপনি আসলেই জাদুকর! আপনিই আমার জীবন সুন্দর করেছেন। আমার বউকে যেভাবে সাজিয়েছেন, আমি প্রথম রাতে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করতে পারছিলাম না! আমি খুব কৃতজ্ঞ আপনার কাছে। আপনার জন্যই আমি এমন রূপসী বউ পেয়েছি।”
এত সুন্দর প্রশংসা শুনে মালকিনি তো খুশিতে লাফাতে লাগলো। তার মুখে হাসি, মনে আনন্দ। ঠিক তখন জামাই তার হাতে একটা মোড়ানো প্যাকেট ধরিয়ে দিলো। বললো—
👉 “এটা আমার ছোট্ট উপহার। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।”
মালকিনি মনে মনে ভেবে নিলো—“নিশ্চয়ই আইফোন বা দামি গয়না আছে। আজ জীবন সফল!”
খুশিতে কাঁপতে কাঁপতে প্যাকেট খুললো, আর ভেতর থেকে বের হলো…
👉 নকিয়া ১১১০ ফোন!
মালকিনির চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। সাথে একটা ছোট্ট চিরকুট, তাতে লেখা—
👉 “এইবার কেমন লাগে?
আমার বউ হাত-মুখ ধোয়ার পর আমিও এমন একটা ঝটকা খেয়েছিলাম কলিজায়!”
🤣🤣🤣
মালকিনি প্রথমে চুপ, তারপর গরম লাল হয়ে গিয়ে বললো—
👉 “এই যে শালা! আমিই তো তোমার বউকে সুন্দর বানাইছিলাম!”
জামাই শান্ত গলায় উত্তর দিলো—
👉 “হ্যাঁ, সুন্দর বানাইছিলেন… কিন্তু টেকসই ছিল না! আপনার মেকআপ দুইদিনও টিকলো না। বাজারে জিনিস কিনলে গ্যারান্টি থাকে, কিন্তু আপনার মেকআপে কোনো গ্যারান্টি নাই। তাই নকিয়া দিলাম—কারণ এটা একবার হাতে নিলে সারাজীবন চলে।”
😆😆 পুরো পার্লারে তখন হাসাহাসি শুরু হলো। মালকিনি রাগে ফুঁসছে, আর জামাই বিজয়ী ভঙ্গিতে বাইরে চলে যাচ্ছে।
তারপর থেকে গ্রামের সবাই বলে—
👉 “বউ সুন্দর করার আগে জামাইকে ওয়ারেন্টি কার্ড দেখাইতে হবে।” 🤣