পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
পর্ব–১: একাকিত্বের ফাঁদ
রহিম ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। মাসিক বেতন ভালো না হলেও, সংসার চালানোর মতো যায়। বিয়ে হয়েছে তিন বছর হলো। স্ত্রী মায়া দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, শান্ত স্বভাবের মেয়ে।
বিয়ের প্রথম দিকে দু’জনের সম্পর্ক ছিল একেবারে সিনেমার মতো—ভালোবাসা, হাসি, খুনসুটি। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনের বাস্তবতা তাদের ঘিরে ধরে। বাজারের দাম বাড়ছে, ভাড়া বাড়ছে, রহিমকে অফিসে বেশি সময় দিতে হচ্ছে। প্রায়ই রাত ৯টার পর বাসায় ফেরা হয় তার।
মায়া একা হয়ে যায়। সারা দিন রান্না, বাসন, টিভি দেখা—তারপর আবার একাকিত্ব। স্বামী আসলেও ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুধু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মায়ার চোখে চোখ রাখা নেই, নেই একটু গল্প বা ভালোবাসার উষ্ণতা।
মায়ার ভেতরে ভেতরে এক শূন্যতা তৈরি হতে থাকে। সে ভাবতে থাকে—
“আমি কি শুধু রান্না আর ঘর সামলানোর জন্য? আমার অনুভূতি কি কারো কাছে কোনো গুরুত্ব নেই?”
এই একাকিত্বই তার জন্য হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় ফাঁদ।
একদিন মায়া ফেসবুকে পুরোনো এক সহপাঠীর ছবি দেখে মন্তব্য করল। সেখান থেকেই আলাপ শুরু। নাম অঞ্জন। বয়সে কিছুটা বড় হলেও, কথার জাদুতে ভরপুর। প্রথম দিকে সাধারণ খোঁজখবর, পরে ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত আলাপ।
অঞ্জন নিয়মিত ফোন করে, খোঁজ নেয়—
“তুমি কেমন আছো?”
“আজ সারাদিন কী করেছো?”
“খেয়েছো তো?”
এই সাধারণ কথাগুলো মায়ার কাছে অমূল্য মনে হয়। কারণ রহিম তো এসব বলে না। অঞ্জনের এই যত্ন, মায়ার হৃদয়ের খালি জায়গা পূরণ করতে শুরু করে।
মায়া একদিন মনে মনে ভাবে—
“রহিম হয়তো সংসারের জন্য কাজ করছে, কিন্তু আমার জন্য সময় কোথায়? অথচ অঞ্জন আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সময় দিচ্ছে, ভালোবাসা দিচ্ছে।”
এভাবেই শুরু হয় অদৃশ্য এক টান।
তবে মায়া তখনও বুঝতে পারে না—এ টান আসলে এক ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কারণ একবার যে পরকীয়ার দরজা খোলে, তার ভয়ংকর ফলাফল এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
পর্ব–২: দেখা হওয়ার শুরু
মায়া আর অঞ্জনের আলাপ প্রতিদিনই বাড়তে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেসেঞ্জারে “শুভ সকাল” পাঠায় অঞ্জন, আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বলে—
“তুমি ছাড়া আমার দিন অসম্পূর্ণ।”
এই কথাগুলো মায়ার কানে যেন জাদুর মতো লাগে। স্বামী রহিম তো এসব কখনো বলে না। তার সব সময় কাজ, টেনশন আর ক্লান্তি। অথচ অঞ্জনের কথায় আছে প্রশংসা, যত্ন, ভালোবাসার অভিনয়।
মায়ার ভেতরে এক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। মনে মনে ভাবে—
“আমি কি ভুল করছি? নাকি এটাই আমার প্রাপ্য?”
একইসাথে ভয় পায়—
“যদি রহিম জেনে যায়? সমাজ যদি জানে?”
কিন্তু একাকিত্বের কষ্ট মানুষকে সব ভুলিয়ে দেয়।
একদিন অঞ্জন সরাসরি বলে বসলো—
“শুধু মোবাইলে কথা বলে আর কতদিন? তোমাকে একবার সামনে থেকে দেখতে চাই।”
প্রথমে মায়া রাজি হচ্ছিল না। ভয় পাচ্ছিল ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু কয়েকদিনের চাপ, মিষ্টি কথাবার্তা আর আবেগী নাটক শেষে রাজি হয়ে যায়।
দিনটা ছিল শুক্রবার। রহিম সেদিন অফিসে গেলেও ফিরতে দেরি হবে, জানিয়ে দিয়েছিল আগেই। মায়া সুযোগটা কাজে লাগাল। অঞ্জনের সঙ্গে দেখা করার জন্য লাল শাড়ি পরে বাসা থেকে বের হলো।
দু’জনের প্রথম দেখা হলো একটি নিরিবিলি ক্যাফেতে। অঞ্জন হাতে একটি গোলাপ নিয়ে হাজির। মায়াকে বসতে দিয়ে বললো—
“তুমি বাস্তবে আরও সুন্দর।”
মায়া লজ্জায় হেসে ফেললো। কথাবার্তার একপর্যায়ে অঞ্জন হাতের ওপর হাত রাখলো। মায়া প্রথমে টেনে নিলেও, পরে আর আপত্তি করলো না। তার ভেতরে যেন নতুন এক রোমাঞ্চ জন্ম নিলো।
সেদিন থেকেই শুরু হলো তাদের নিয়মিত দেখা করা। কখনও ক্যাফেতে, কখনও পার্কে, কখনও শপিং সেন্টারে। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হতে থাকলো।
কিন্তু মায়া তখনও বুঝতে পারছিল না—
সে যে এক অন্ধকার গহ্বরে পা দিয়েছে, যেখানে শুরু আছে কিন্তু সুন্দর কোনো শেষ নেই।
পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
পর্ব–৩: গোপন প্রেম, বিপজ্জনক টান
অঞ্জনের সঙ্গে প্রথম দেখা থেকেই মায়ার মনে নতুন এক রোমাঞ্চ জেগেছিল। সেই রোমাঞ্চ দিন দিন আরও বাড়তে থাকে। এখন প্রায় সপ্তাহে দু’একবার দেখা হয়। কখনও ক্যাফেতে, কখনও নির্জন পার্কে।
মায়া বুঝতে পারে, অঞ্জনের সাথে সময় কাটানোটা তার কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। স্বামী রহিম বাসায় এলেও, তার সঙ্গে এখন আর মায়ার মন বসে না। রহিমের ক্লান্ত মুখ, অফিসের টেনশন, সংসারের হিসাব—এসব মায়ার কাছে এখন বিরক্তিকর লাগে। অথচ অঞ্জনের হাসি, যত্ন, মিষ্টি কথা তাকে অন্য জগতে নিয়ে যায়।
একদিন দেখা করতে করতে অঞ্জন হঠাৎ বললো—
“তুমি জানো, আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।”
মায়া চমকে তাকালো, কিন্তু ভিতরে ভিতরে খুশিও হলো।
অঞ্জন আবার বললো—
“তোমার স্বামী কি তোমাকে সময় দেয়? যত্ন নেয়? না। অথচ আমি প্রতিদিন তোমার কথা ভাবি। তুমি আসলেই আমার জন্য।”
এই কথাগুলো মায়ার কানে মধুর মতো লাগে। কিন্তু তার ভেতরে ভয়ও কাজ করে—
“যদি রহিম জেনে যায়? যদি সমাজ জানে?”
তবুও আবেগের কাছে হেরে যায়।
কিছুদিন পর অঞ্জন মায়াকে নিয়ে গেলো শহরের বাইরে এক রিসোর্টে। সেখানে প্রথমবার তারা একসাথে একান্তে সময় কাটালো। মায়া দ্বিধায় ছিল, কিন্তু অঞ্জনের আবেগী নাটক, মিষ্টি প্রতিশ্রুতি আর ভালোবাসার অভিনয়ে সব ভুলে গেলো।
সেদিনের পর আর কোনো বাধা থাকলো না। তাদের সম্পর্ক একেবারে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছালো।
অন্যদিকে, রহিম লক্ষ্য করতে শুরু করলো কিছু অস্বাভাবিকতা।
মায়ার মোবাইল সবসময় হাতে থাকে, অনেক সময় লুকিয়ে কথা বলে।
সাজগোজ বেড়ে গেছে, অকারণে বাইরে যাওয়া শুরু করেছে।
রহিম বাসায় এলে, মায়া আগে যেমন হাসি-খুশি থাকতো, এখন থাকে না।
রহিমের মনে সন্দেহ জন্ম নিলো। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কিছু বলা যায় না। তাই চুপচাপ সব খেয়াল করতে থাকে।
কিন্তু মায়া তখনও বুঝতে পারছিল না—
যতই গোপন রাখা হোক, পাপ কোনোদিন আড়ালে থাকে না।
পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
পর্ব–৪: সন্দেহের ছায়া
রহিম ধীরে ধীরে লক্ষ্য করতে থাকে মায়ার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
আগে মায়া সবকিছু খুলে বলতো—কোনো আলাপ লুকাতো না। এখন প্রায়ই ফোন হাতে নিয়ে একা বসে থাকে। হাসে, কখনও অল্প স্বরে কথা বলে, অথচ রহিম কাছে যেতেই ফোনটা বন্ধ করে ফেলে।
একদিন রহিম অফিসে বসেই ফোন করলো। মায়া ধরতেই কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। রহিম শুনতে পেল পেছনে যেনো আরেকজনের কণ্ঠস্বর। মায়া দ্রুত বলে ফেললো—
“ওহ, বাজারে আছি। একটু ব্যস্ত, পরে কথা বলবো।”
রহিমের মনে ধাক্কা লাগে।
সে ভাবে—
“মায়া কি সত্যিই বাজারে? নাকি অন্য কোথাও?”
সেদিন বাসায় ফিরে মায়ার মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকে রহিম। কিন্তু কিছু বলে না। কারণ ভিতরে ভিতরে সে এখনও বিশ্বাস করতে চায়, তার স্ত্রী ভুল কিছু করছে না।
কিন্তু সন্দেহ তাকে গ্রাস করতে থাকে।
পরের সপ্তাহে রহিম হঠাৎ একদিন অফিস থেকে আগেভাগেই বের হয়। মায়াকে কিছু জানায় না। সে বাসায় পৌঁছেই খেয়াল করলো—মায়া ঘরে নেই। টেবিলে রান্না অর্ধেক করা, অথচ মোবাইল বন্ধ।
রহিমের বুকের ভেতর অস্থিরতা শুরু হলো।
“সে কোথায় গেল?”
একটু পরে রহিমের এক বন্ধুর ফোন আসে। সে বললো—
“ভাই, আমি তাকে এক জায়গায় দেখলাম... মনে হলো তোর স্ত্রী কারও সঙ্গে বসে আছে।”
রহিমের মাথায় বাজ পড়লো।
সেই মুহূর্তে তার ভেতরে হাজারো প্রশ্ন, রাগ, অপমান, ভয়—সব মিলে আগুনের মতো জ্বলতে থাকে।
এদিকে মায়া তখন অঞ্জনের সাথে নিরিবিলি এক ক্যাফেতে বসে গল্প করছে। হাসছে, হাত ধরছে।
তার কোনো ধারণাই নেই—ধীরে ধীরে ফাঁস tighten হতে শুরু করেছে।
পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
পর্ব–৫: মুখোমুখি সত্য
রহিমের সন্দেহ এখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে উঠেছে। কিন্তু সে এখনও চায় না হুট করে ঝগড়া করতে। সে প্রমাণ চায়—যাতে মায়া আর কোনো অজুহাত দিতে না পারে।
কয়েকদিন রহিম চুপচাপ মায়াকে পর্যবেক্ষণ করে। একদিন ইচ্ছে করে বলে—
“আজ আমার অফিসে মিটিং দেরি হবে, রাত দশটার পর ফিরবো।”
মায়া বাইরে বেরোনোর সুযোগ পেয়ে উজ্জ্বল মুখে বললো—
“ঠিক আছে, তুমি চিন্তা কোরো না। আমি খেয়েই শুয়ে পড়বো।”
কিন্তু রহিম বাসা থেকে বেরিয়ে যায়নি। কিছুক্ষণ পর অন্ধকার গলি পেরিয়ে ফিরে আসে। লুকিয়ে থাকে কোণের এক দোকানের সামনে।
এক ঘণ্টা পর সে দেখতে পেল—মায়া লাল ওড়না গায়ে দিয়ে বাসা থেকে বের হলো। হাতে ছোট ব্যাগ, চুল খোলা। রহিমের বুক কেঁপে উঠলো।
সে মায়ার পিছু নিলো।
কয়েক গলি দূরের এক ক্যাফেতে মায়া ঢুকলো। টেবিলে বসে অপেক্ষা করছিল অঞ্জন। মায়াকে দেখে উঠে দাঁড়াল, হাসিমুখে হাতে হাত মিলালো, তারপর আস্তে করে তার হাত নিজের হাতে নিলো।
রহিম বাইরে থেকে সব দেখছে। বুকের ভেতর আগুন জ্বলছে, হাত কাঁপছে, মাথায় রক্ত চড়ছে—তবুও নিজেকে সামলে নিলো।
সে ভেতরে ঢুকে সরাসরি তাদের সামনে দাঁড়ালো।
অঞ্জন আঁতকে উঠলো, মায়ার মুখ হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।
রহিম গম্ভীর গলায় বললো—
“এটাই তোমার বাজার? এটাই তোমার রান্না ফেলে রেখে ব্যস্ততা?”
মায়া তোতলাতে লাগলো—
“না রহিম… ব্যাপারটা তুমি যেমন দেখছো তেমন না… আমি…”
রহিম তার কথা কেটে দিয়ে বললো—
“চুপ! একটাও মিথ্যা শুনতে চাই না। আমি সব বুঝে গেছি।”
ক্যাফের লোকজন তাকিয়ে আছে। মায়ার মাথা নিচু, অঞ্জন অস্বস্তিতে কুঁকড়ে গেছে।
সেই মুহূর্তে রহিমের চোখে জল চলে এলো। সে আস্তে করে বললো—
“আমি ভেবেছিলাম, সংসারের কষ্ট আমি একা সহ্য করবো, তুমি পাশে থাকবে। অথচ তুমি-ই আমাকে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করলে।”
মায়া কেঁদে ফেললো, কিন্তু সেই কান্না রহিমের জমে থাকা আগুন আর ব্যথা কমাতে পারলো না।
সেদিন রাতেই রহিম মায়াকে নিয়ে বাসায় ফিরলো। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে—এই সম্পর্ক আর আগের মতো থাকবে না।
পরকিয়ার ভয়ংকর ফল
শেষ পর্ব–৬: পতন ও শিক্ষা
সেদিন রাতটা ছিল রহিম আর মায়ার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ রাত।
রহিম চুপচাপ বিছানায় শুয়ে ছিল, চোখে ঘুম নেই। পাশে কাঁদতে কাঁদতে চোখ লাল করে বসে ছিল মায়া।
ভোরের দিকে মায়া কাঁদতে কাঁদতেই বললো—
“রহিম, আমি ভুল করেছি। আমি একাকিত্বের জন্য ভুল পথে হেঁটেছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে হারাতে চাই না। আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও।”
রহিম গভীর নিঃশ্বাস ফেলে বললো—
“সুযোগ? তুমি জানো মায়া, বিশ্বাস ভাঙা একবার হলে, সেটা আর আগের মতো হয় না। তোমার এক ভুল শুধু আমার না, আমাদের সংসার, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু ভেঙে দিয়েছে।”
মায়া আবার কেঁদে ভেঙে পড়লো।
কিন্তু রহিমের মন শক্ত হয়ে গেছে।
পরের দিন থেকেই রহিম বদলে গেল। সে মায়ার সাথে প্রয়োজন ছাড়া আর কথা বলতো না। সংসার চলতে থাকলো, কিন্তু সম্পর্কটা ভেতরে ভেতরে মৃত হয়ে গেল।
অঞ্জনের সাথেও সম্পর্ক ভেঙে গেল। অঞ্জন প্রথমদিকে প্রতিশ্রুতি দিলেও, ধীরে ধীরে দূরে সরে গেল। কারণ তার আসল উদ্দেশ্য ছিল শুধু ক্ষণিকের আনন্দ। মায়া সেটা বুঝতে দেরি করলো, কিন্তু তখন আর কিছু করার ছিল না।
মায়া বুঝলো—
সে শুধু নিজের স্বামীকেই নয়, নিজের জীবনকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।
একা বসে থাকতে থাকতে প্রায়ই ভাবে—
“যদি সেদিন একা থাকার কষ্টটা সহ্য করতাম! যদি ধৈর্য ধরতাম!”
অন্যদিকে রহিমও ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়েছিল। মানুষের সামনে কিছু না দেখালেও, তার চোখে সবসময় এক অজানা ব্যথা লেগে থাকতো।
পরকীয়া কখনো সুখ এনে দেয় না। শুরুতে মিষ্টি মনে হলেও, এর শেষ পরিণতি ভয়ংকর—
সংসার ভাঙে,
বিশ্বাস নষ্ট হয়,
সমাজে অপমান হয়,
আর ভেতরের শান্তি চিরদিনের মতো হারিয়ে যায়।
যত কষ্টই হোক, দাম্পত্য জীবনের সমস্যার সমাধান স্বামী-স্ত্রীকেই একসাথে খুঁজে নিতে হবে।
কারণ পরকীয়ার ফাঁদে পা দিলে শেষমেশ শুধু অশান্তি আর অনুতাপ ছাড়া আর কিছুই থাকে না।