১. পুরুষ টাকার মেশিন
হোসেন প্রবাসে চলে গিয়ে প্রথম বছরেই অনেক টাকা পাঠিয়েছিল। মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই উপকার পেয়েছিল। কিন্তু হোসেন জানে না, তার মা তখনো দিব্যি কাঁপছিল। তাকে গর্ব করার জায়গায়, তারা শুধু একজন “টাকার মেশিন” হিসেবে চেয়েছিল।
---
২. টাকার মেশিন অচল
রাজু একদিন রাতে কাজ শেষে হোস্টেল ফিরে আসছিল। তার শরীর ছিল ক্লান্ত, আর মনে একটা ভাবনা চলে আসে—"আমি তো এখন একটা টাকার মেশিন, কিন্তু আসলেই কি আমি জীবিত?" আজকাল তার প্রেরণা ছিল না। টাকার মেশিন যখন অচল হয়, তখন জীবনটা কেমন হয়ে যায়, সে জানতো।
---
৩. একটা টাকার মেশিন
মাসুদ জানে, তাকে সবাই জানে টাকার মেশিন হিসেবে। কিন্তু একদিন তার মা বলল, “তুই তো তেমন কিছু করে না, শুধু টাকার কথা ভাবিস। কোনো দিন আসলে কি নিজেকে খুঁজে পাবে?” মাসুদ কিছু বলল না, চুপচাপ গেটে দাঁড়িয়ে রইল। তার মাঝে নিজেকে একটা টাকার মেশিন মনে হলো, যার মূল্য আর সময় দুটোই চলে গেছে।
---
৪. প্রবাসী টাকার মেশিন
রানা প্রবাসে এসেছে তিন বছর হলো। সে এখন নিয়মিত টাকা পাঠায়, কিন্তু তার ছেলের মুখে হাসি থাকে না। সবাই বলে, “তুই তো একটা প্রবাসী টাকার মেশিন।” রানা জানে, কেউ তার জীবন আর অনুভূতিগুলো বুঝতে চায় না। তারা শুধু তার টাকা চায়।
---
৫. আমি এক টাকার মেশিন
বাবার স্বপ্ন ছিল যে ছেলে ভালো চাকরি পাবে, সংসার চালাবে। কিন্তু আমার গল্পটা আলাদা। আমি এক টাকার মেশিন, ঘরে টাকা পাঠাতে হবে। সেখানে আমাকে কেউ চিনবে না, বুঝবে না। কেউ ভাববে না, আমি তো শুধু এক টাকার জন্যই বাঁচি!
---
৬. একটা টাকার মেশিন প্যাকেট হয়েছে সাদা কাপড়ে
কাজ শেষে হোটেল ফিরে আসা শহিদ, সারারাত সে সবে ভাবছিল। এই প্রবাসী জীবন, তার স্বপ্ন, তার আক্ষেপ। এক টাকার মেশিনকে সাদা কাপড়ে প্যাকেট করে ঘরে ফিরতেই হয়, কেউ জানে না—এটা কি আসলেই জীবন?
---
৭. একটা টাকার মেশিন পেকেট হইছে
মীরু প্রতিদিন কাজ শেষে ফিরে আসে। সে জানে, পকেটে টাকা না থাকলে কেউ তাকে মনে রাখবে না। টাকা না থাকলে সে এক টাকার মেশিনের মতো পেকেট হয়ে যাবে, সাদা কাপড়ে মোড়ানো।
---
৮. টাকার মেশিন প্রবাসী জীবন
অজিতের কোলেপেট্টি, বাবার পুরনো শোয়ার ঘর—সব কিছুই ছেড়ে আসতে হয়েছিল। আর এখানে এসে, দিনরাত সেই এক প্রশ্ন—“টাকার মেশিন হয়ে বাঁচা কি জীবন?” সে নিজেকে এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুভব করেছিল, যেখানে সব কিছুই প্রভাবিত ছিল শুধুমাত্র টাকার দ্বারা।
---
৯. একটা টাকার মেশিন
এমন এক সময়ে, মুনির বুঝে গিয়েছিল যে, সে একটা টাকার মেশিন হয়ে গিয়েছে। সে জানে, দেশে তার পরিচয়টা টাকা পাঠানো ছেলেটা। কিন্তু তার ভেতরে অনুভব ছিল—সে আর কোনো জীবিত মানুষ নয়, সে শুধু এক টাকার মেশিন।
---
১০. টাকার মেশিন প্রবাসী জীবন
রিয়াজ জানে, তার স্বপ্ন এবং ভবিষ্যতের সব কিছু, তার প্রবাসী জীবন আর সেই টাকার মেশিনের মতো হয়ে দাঁড়িয়ে। তার কাছে জীবনের মূল্য হলো টাকা, কারণ দেশে তার পরিবারের চাহিদা মেটাতে এটিই তার একমাত্র উপায়। কিন্তু কখনো সে মনে করে—এটাই কি আসল জীবন?
