পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ কি | খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সমাধান

 ---

পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ কি

১. পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর সাধারণ কারণ:

পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ কি

ক. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা:

মন খারাপ, হতাশা, কাজের চাপ বা পারিবারিক সমস্যা অনেক সময় যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দেয়, ফলে পুরুষাঙ্গ উত্তেজিত হয় না।

খ. অতিরিক্ত পর্ন দেখা বা কল্পনায় থাকা:

যদি কেউ নিয়মিত পর্ন বা নারীদের ছবি/ভিডিও দেখে, তখন তার মস্তিষ্কে একটি ভুল যৌন অভ্যাস তৈরি হয়। বাস্তব জীবনে উত্তেজনা আসতে দেরি হয় বা হয় না।

গ. শরীরিক দুর্বলতা:

রক্তে হিমোগ্লোবিন কম, প্রেশার কম, ডায়াবেটিস, ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয়, ফলে সঠিকভাবে দণ্ডায়মান হয় না।

ঘ. হরমোনের সমস্যা:

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকলে যৌন ইচ্ছা কমে যায় এবং উত্তেজনা তৈরি হয় না।

ঙ. ধূমপান ও মাদক:

এইগুলো রক্তনালী সংকুচিত করে, ফলে পুরুষাঙ্গে রক্ত প্রবাহ হয় না।

---

২. নারীদের ছবি/ভিডিও সারাদিন দেখা – এর ক্ষতিকর প্রভাব:

ক. ব্রেইনে ডোপামিন লেভেল কমে যায়:

প্রথমে আনন্দ দেয়, পরে সেটিই অভ্যাস হয়ে যায়। তখন বাস্তব নারীর প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।

খ. সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি রিয়েলিটির চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়:

ফলে বাস্তব মিলনে আগ্রহ থাকে না, উত্তেজনা কমে যায়।

গ. মস্তিষ্কের সিগন্যাল সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায়:

নিয়মিত অতিরিক্ত উত্তেজনা মানসিকভাবে ক্লান্ত করে দেয়, তখন পুরুষাঙ্গ সহজে উত্তেজিত হয় না।

---

৩. প্রতিকার ও সমাধান:

ক. অভ্যাস পরিবর্তন করুন:

নারীদের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও দেখা একেবারে বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে নয়, একবারেই।

সময় নষ্ট হয় এমন অ্যাপ/ওয়েবসাইট ব্লক করে দিন।

খ. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন:

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন (২০-৩০ মিনিট হাঁটা বা দৌড়ানো খুব কার্যকর)।

পর্যাপ্ত ঘুম নিন (৬-৮ ঘণ্টা)।

পুষ্টিকর খাবার খান: ডিম, কলা, বাদাম, মধু, রসুন, খেজুর ইত্যাদি।

গ. মানসিক প্রশান্তি আনুন:

দুশ্চিন্তা বা হতাশা থেকে মুক্ত থাকতে মেডিটেশন করুন।

নিত্যদিন ৫-১০ মিনিট আল্লাহর জিকির বা ধ্যান করুন।

ঘ. ধূমপান-মাদক একেবারে পরিহার করুন।

ঙ. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

যদি দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা থাকে, তবে ইউরোলজিস্ট বা যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান।

---

৪. ইসলামিক পরামর্শ:

নামাজ জীবনকে শৃঙ্খলিত করে।

পর্ন বা অশ্লীলতা পরিহার করা ইসলামে গুনাহ এবং শারীরিক ক্ষতির কারণ—এটি ত্যাগ করা সাওব ও স্বাস্থ্যের উভয় দিকেই কল্যাণকর।

---

সতর্কবার্তা:

> নিজে থেকে কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভুল ওষুধ নেওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে।