প্রচন্ড হাসির গল্প | ছোট ছেলের গল্প: মজা ও ফ্যান

 গল্প: ছোটনের চশমা অভিযান

হাসতে হাসতে শেষ

ছোটন একদম অদ্ভুত বাচ্চা। মাথায় দুষ্টুমির ফ্যাক্টরি, মুখে সবসময় হাসি। একদিন স্কুল থেকে এসে ছোটন বলল—

“মা! আমি চশমা পরব!”

মা অবাক, “কেন রে? তোর চোখ তো একদম ভালো!”

ছোটন গম্ভীর মুখে বলল, “তবে তো ঠিকই, কিন্তু ক্লাসে মিমি চশমা পরে বলে সবাই তাকে ‘স্মার্ট’ বলে। আমাকেও স্মার্ট হতে হবে!”

মা হাসি চাপতে না পেরে বলল, “তুই আগে হোমওয়ার্ক কর, তারপর স্মার্ট হ!"

কিন্তু ছোটন থামে না। সে ঠিক করল, নিজেই চশমা বানাবে!

ঘরে গিয়ে শুরু হল তার "চশমা প্রজেক্ট"। পুরনো পানির বোতল কেটে দুইটা গোল কাচ বানাল, তারপর বাবার পুরনো মোজা থেকে ইলাস্টিক কেটে নিল। সব মিলিয়ে বানিয়ে ফেলল তার নতুন চশমা—নাম দিল "স্মার্টো গ্লাস ৩০০০"!

চশমা পরে সে আয়নায় তাকিয়ে চিৎকার,

“ওয়াও! আমি এখন যেন সায়েন্টিস্ট!”

কিন্তু সমস্যা শুরু হলো তখনই।

সে ড্রইং রুমে গিয়ে বলল, “মা, টিভিতে কার্টুন চলতেছে?”

মা বলল, “না রে, খবর চলছে।”

ছোটন চোখ গোল করে বলল, “কিন্তু আমি দেখছি টম আর জেরি একসাথে নাচতেছে!”

মা দেখল, ছোটনের বানানো চশমায় সবকিছু ঘোলা আর উল্টাপাল্টা দেখা যাচ্ছে। ঘরের ফ্যান ঘোরা বন্ধ, কিন্তু ছোটন বলছে, “মা! ফ্যান এখন স্লো মোশনে ঘুরতেছে!”

মা বলল, “চোখ খুলে দেখ, তুই তো ঘরের বাতিও ঠিকঠাক দেখতেছিস না!”

ছোটন বলল, “মা, এই চশমা পরে দেখছি তুমিও দুইজন!”

মা হেসে ফেলল, “তুই তো দেখি স্মার্ট না, তুই হচ্ছিস স্মার্ট লাড্ডু!”

শেষে ছোটন চশমা খুলে ফেলল। বলল,

“মা, এই চশমা পরে আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি দুইগুণ বেশি দেখতে পারি!”

মা আদর করে বলল, “সেইটাই সবচেয়ে ভালো দেখা, বাবা!”

---

এই গল্পের শিক্ষা:

চশমা পরে কেউ স্মার্ট হয় না—মনটা ভালো থাকলেই মানুষ সবচেয়ে স্মার্ট হয়।