১. লুচ্চা কাকে বলে
রাস্তায় হাঁটছিল রেহান। হঠাৎ পাশে দাঁড়ানো এক লোক বারবার মেয়েদের উদ্দেশে অদ্ভুত মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছিল। রেহান কাছে গিয়ে বলল,
– “ভাই, এভাবে কথা বলা কি আপনার নিজের বোনের প্রতি কেউ করলে ভালো লাগবে?”
লোকটি চুপ মেরে গেল।
এমন মানুষেরাই লুচ্চা—যারা অন্যের সম্মান বোঝে না, নিজের চোখের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না।
---
২. লুচ্চা ক্যাপশন
তিশা তার ফেসবুকে লিখল,
"তুমি যদি কাউকে সম্মানের চোখে না দেখতে পারো, তাহলে তাকে দেখাই না। কারণ নোংরা চোখ দিয়ে কেউ কখনো সুন্দর কিছু দেখতে পারে না।"
---
৩. লুচ্চা স্ট্যাটাস
সুমন অফিসের নতুন মেয়েটিকে নিয়ে বন্ধুমহলে হাসাহাসি করত। সে ভাবত, মজা করছে।
কিন্তু একদিন মেয়েটি বলল,
– “আপনার কথায় আমি অস্বস্তি বোধ করি। এটা কোনো রসিকতা নয়, এটা সম্মানহানিকর।”
সেদিন সুমন বুঝল, সবাই যাকে ‘ফানি’ ভাবছে, সে আসলে একজন লুচ্চা।
---
৪. লুচ্চামি স্ট্যাটাস
ফারহানা বাসে উঠেই লক্ষ্য করল, পাশের লোকটি বারবার তার দিকে তাকাচ্ছে অদ্ভুতভাবে।
সে বলল,
– “আপনার চোখে যদি ভদ্রতা না থাকে, তাহলে সামনের দিকে বসেন।”
মেয়েটির সাহসিকতায় পুরো বাস শান্ত হয়ে গেল। এই ধরনের দৃষ্টিই সমাজে লুচ্চামির পরিচয় বহন করে।
---
৫. লুচ্চা
জামান সবসময় পাড়ার ছোট মেয়েদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ করতে চাইত। তাদের ফোনে কল, মেসেজ—সব কিছুই ছিল লোভনীয় ইঙ্গিতে ভরা।
একদিন এক মেয়ে তার বাবা-মাকে সব জানাল। তখন জামান পালানোর জায়গা পেল না।
এটাই লুচ্চার পরিণতি—অবশেষে সে সমাজেই মুখ দেখাতে পারে না।
---
৬. লুচ্চা মানে কি
লুচ্চা মানে শুধু অশালীন মানুষ না, সে এমন কেউ, যার চোখ-চিন্তা-চরিত্র সবই বিকৃত। সে নিজের আনন্দের জন্য অন্যের অস্বস্তি দেখে সুখ পায়। এটা শুধু একটা শব্দ নয়—একটা চরিত্রের নাম।
---
৭. লুচ্চার মুখোশ
সাদিক সবাইকে ‘ভাই-বোন’ বলে ডাকত। কিন্তু যখন কেউ একা পেত, তখন চোখ বদলে যেত, কথা বদলে যেত।
একদিন নুসরাত বলে উঠল,
– “ভাইয়ের মুখোশ খুলে ফেলুন, আমরা বুঝি আপনি কে।”
সেই মুহূর্তে তার মুখের সব রং উবে গেল। এই মুখোশধারীরাই সবচেয়ে বিপজ্জনক লুচ্চা।
---
৮. লুচ্চার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
স্কুলে এক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অশালীন মন্তব্য করত। সবাই ভয় পেয়ে চুপ থাকত।
একদিন এক মেয়ে বলল,
– “স্যার, শিক্ষা যদি সম্মান শেখায়, আপনি কী শিখাচ্ছেন?”
শিক্ষক বরখাস্ত হলেন।
সাহস যখন কথা বলে, লুচ্চা চুপ হয়ে যায়।
---
৯. লুচ্চা কি শুধু পুরুষ হয়?
রাহেলা আপু সবসময় ছেলেদের অকারণে খোঁচা দিতেন, অশালীন মেসেজ পাঠাতেন, অন্যের ছবি নিয়ে ব্যঙ্গ করতেন।
একদিন তার এক সহপাঠী বলল,
– “তুমি তো শুধু নারী নও, তুমি অন্যের অস্বস্তির কারণ। এই ব্যবহার এক ধরনের লুচ্চামি।”
লুচ্চা হওয়ার কোনো লিঙ্গ নেই—চরিত্রই আসল পরিচয়।
---
১০. লুচ্চামির শেষ কোথায়?
সবাই ভাবে মজা, হাসিঠাট্টা, একটু ‘মশকরা’ লুচ্চামি নয়।
কিন্তু এসবই ধীরে ধীরে ভয়ংকর এক অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়।
যেদিন কেউ প্রতিবাদ করে, সেদিনই সেই ‘মজা’ একজন লজ্জিত মানুষে রূপ নেয়।
লুচ্চামির শেষ তখনই হয়, যখন সমাজের সবাই চোখে চোখ রেখে না বলে।